সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা কালে লকডাউনের প্রভাবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। তবে রাজ্যের চেহারা একেবারে অন্যরকম। ঠিক এই সময়েই বাংলায় বড়সড় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল ফ্লিপকার্ট (Flipkart)। তার ফলে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য বহু আগেই দেশের বড় সংস্থাগুলিকে আহ্বান জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, আর তারপরই বিনিয়োগের প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের (Amit Mitra) সঙ্গে ই-কমার্স সংস্থাটির কথাবার্তা হয়। তাতেই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত পাকা হয়েছে। হুগলির ডানকুনিতে (Dankuni) ফ্লিপকার্টের ‘ফুলফিলমেন্ট সেন্টার’ তৈরি হবে। ২.২ লক্ষ বর্গফুট জমির উপরে ওই ‘ফুলফিলমেন্ট সেন্টার’টি তৈরি হওয়ার কথা। ফ্লিপকার্টের পাশাপাশি সেটি ব্যবহার করবে মিন্ত্রাও (Myntra)। ‘ফুলফিলমেন্ট সেন্টার’-এর মাধ্যমে খুব দ্রুত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রেতাদের কাছে দাবিমতো জিনিসপত্র পৌঁছে যাবে। বাংলার প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতেও মালপত্র পৌঁছনো অনেক বেশি সুবিধাজনক হবে। তার ফলে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন ক্রেতারা।
[আরও পড়ুন: জোর করে ডিভোর্স দিতে চাইছেন স্বামী, শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বিজেপি নেতার স্ত্রী]
ওই ই-কমার্স সংস্থা সূত্রে খবর, বর্তমানে বাংলায় মোট ১৫২টি ফ্লিপকার্টের ডেলিভারি হাব রয়েছে। বিশ্ববাংলার সঙ্গে সংযুক্ত ফ্লিপকার্ট। ‘ফুলফিলমেন্ট সেন্টার’ (Fullfilment Centre) তৈরির ফলে রাজ্যে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। কয়েক হাজার বেকারি যুবক-যুবতী চাকরি পেতে পারেন। এছাড়াও জিনিসপত্র ক্রেতাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্যও বহু যুবক চাকরি পেতে পারেন। তার ফলে রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যে আর পুনরুজ্জীবিত হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ফ্লিপকার্টের বিনিয়োগ রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে বলেই আশাবাদী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)।