shono
Advertisement

বুকে অনুব্রতর ছবি নিয়ে বীরভূম থেকে আসানসোল জেলে হাজির ভক্ত! তবু দেখা মিলল না কেষ্টর

আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে।
Posted: 02:02 PM Feb 17, 2023Updated: 04:23 PM Feb 17, 2023

শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর শুক্রবার ফের আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। শুনানি শেষে গরু পাচার মামলায় আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে। তবে এদিন আদালত চত্বরে নজর কাড়লেন এক অনুব্রত ভক্ত।

Advertisement

জেলের বাইরে বুকে অনুব্রত মণ্ডল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই অনুগামী। জানান, তিনি বীরভূম থেকে এসেছেন। নাম রজত গড়াই। দুবরাজপুর পৌরসভার তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী। অনুব্রত মণ্ডল যেন খুব তাড়াতাড়ি জেল থেকে মুক্তি পান, সেই প্রার্থনা করেই তারাপীঠে পুজো দেন তিনি। শুধু তাই নয়, আসানসোলে মা ঘাগর বুড়ি মন্দিরেও পুজো দিয়েছেন তিনি। তবে এদিন জেলের বাইরে এসে দাঁড়ালেও অনুব্রতর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। কারণ পুলিশ কালো কাচের গাড়িতে করে চট জলদি আদালতে নিয়ে যায় অনুব্রতকে (Anubrata Mandal)। সেখান থেকে রজত গড়াই চলে যান আসানসোল আদালতে। পূর্ণ শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি আদালতের বাইরেই ছিলেন। তাঁর দাবি, অনুব্রত মণ্ডলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। 

[আরও পড়ুন: স্টিং অপারেশনে বেফাঁস মন্তব্যের জের, ইস্তফা দিলেন নির্বাচকপ্রধান চেতন শর্মা]

এদিন অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন করা হয়নি। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারক অনুব্রতকে ১৪ দিনের জন্য জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ৩ মার্চ পরবর্তী সিবিআই আদালতে পেশ হবে অনুব্রতকে। প্রসঙ্গত এদিন সমবায় ব্যাংকের যে ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি সিবিআই পেয়েছিল, তার ১১৫টি অ্যাকাউন্টের ব্যাংকের স্টেটমেন্ট আদালতের কাছে জমা করেন। তা দেখে বিচারক বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এক একটি লেনদেন ৫ বা ৬ লক্ষ টাকা করে হয়েছে। এবং বারবার হয়েছে। জানা গিয়েছে টাকা হাত ঘোরাতে যে ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে মূল পাঁচটি অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছিল, সেই পাঁচটি অ্যাকাউন্ট কোনও প্রভাবশালীর নয়। রাইস মিলের হতদরিদ্র শ্রমিকের।

[আরও পড়ুন: দিল্লি ও মুম্বইতে অফিস বন্ধ করল টুইটার, বাড়িতে থেকেই কাজের নির্দেশ কর্মীদের]

অনুব্রতর পাশাপাশি তাঁর দেহরক্ষী সেহেগল হোসেনেরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে। তিহার থেকে ভারচুয়াল প্রোডাকশন ছিল তাঁর। সেহেগলের আইনজীবী শেখর কুন্ডু অভিযুক্তের জামিনের আবেদন জোরালো ভাবে তোলেন। তাঁর দাবি, এই মামলার মূল দুই অভিযুক্ত সতীশ কুমার এবং এনামুল হক এই আদালত থেকেই জামিন পেয়েছেন। তবে কেন অনন্তকাল ধরে তাঁর মক্কেল জেলবন্দি? আট মাস ধরে তিনি জেলে। এদিন জামিনের সাওয়াল করতে গিয়ে অভিযুক্তর আইনজীবী ইডি মামলার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তবে শেষমেশ জামিন খারিজ হয়ে যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup মহানগর toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার