শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি : প্রচুর পরিমাণে সুপারি পাচারের অভিযোগে ভিন রাজ্যের দুই যুবক-সহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর (ডিআরআই)। শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি বাইপাসের ঘটনা। গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে ওই এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকেই বিপুল পরিমাণ সুপারি-সহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া সুপারির আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৭ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা।
[সপরিবারে জেলবন্দি কাউন্সিলর, পোষ্যকে সামলাতে গিয়ে নাজেহাল পুলিশ]
গোপনসূত্রে খবর পেয়ে, রবিবার রাতে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ঘোষপুকুরের ফুলবাড়ি বাইপাস এলাকায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকেরা। সেখান থেকেই সন্দেহভাজন দুটি ট্রাকে চলে তল্লাশি। ট্রাক থেকেই উদ্ধার হয় ৩৯.১৫৬ মেট্রিক টন সুপারি। ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত গুটখা তৈরির কারখানায় পাচার করা হচ্ছিল ওই সুপারি। ঘটনাস্থল থেকেই ৪ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নাম কোনা নাগরাজু, ভি রামবাবু, মনজুর আলম ও তারিকুল হক। জানা গিয়েছে, নাগরাজু অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা ও রামবাবুও ওই রাজ্যেরই পূর্ব গোদাবরী জেলার দোলেশ্বরমের বাসিন্দা। বাকি দুই ধৃত এ রাজ্যের মালদহ ও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সূত্রের খবর, ঘটনার পিছনে কাজ করছে আন্তর্জাতিক পাচারচক্র।
[স্টেথোস্কোপের বদলে হাতে তুলাযন্ত্র, গবেষণায় ব্যস্ত চিকিৎসক]
ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সুপারির পরিমাণ ৩৯.১৫৬ মেট্রিক টন। সুপারিগুলি মূলত ইন্দোনেশিয়ার। সেখান থেকে জলপথে সুপারিগুলিকে ভিয়েতনামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে থাইল্যান্ড হয়ে মায়ানমারে পাঠানো হয় সুপারি। মায়ানমারের মনিওয়া দিয়ে ইন্দো-মায়ানমার সীমান্ত টোপকে মিজোরামে পাঠানো হয়। মিজোরাম থেকে সড়কপথে ওই সুপারি শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে একটি ট্রাক পাঠান হত নবদ্বীপে, অপরটি হুগলিতে। জানা গিয়েছে, ট্রাক দুটির মধ্যে একটিতে অন্ধ্রপ্রদেশ ও একটিতে পশ্চিমবঙ্গের নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হয়েছিল। পুলিশের অনুমান, নম্বর প্লেট দুটি সম্ভবত ভুয়ো।
