সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: ‘বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে৷’ বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দার্জিলিংয়ের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। শুধু তাই নয়, তিনি বলেন, “বিমল রয়েছেন দার্জিলিং ও ডুয়ার্সের মধ্যেই। রাজ্য চাইলে করলে খুঁজে বের করুক।” একই সঙ্গে বিমলের বিরুদ্ধে কোনও আক্রমণ হলে জীবনের শেষ বিন্দু দিয়ে আগলে রাখবেন বলেও জানান তিনি৷ বলেন, “রাজ্য সরকার বিমল গুরুং ও তাঁর পরিবারের প্রতি অন্যায় করছে। আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। নিরাপত্তার অভাব থাকায় প্রকাশ্যে আসছেন না গুরুং৷ সময় হলে ঠিক প্রকাশ্যে আসবেন মোর্চা সুপ্রিমো৷”
[দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী ও সন্তানের উপর অ্যাসিড হামলা, গ্রেপ্তার যুবক]
দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয় বলেও দাবি জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পক্ষেই সওয়াল করলেন তিনি৷ তাতে কেউ রাজি না হলে, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও আপত্তি তাঁর। বুধবার শিলিগুড়িতে নিজের মাটিগাড়ার আস্তানায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে আলুওয়ালিয়া বলেন, “পাহাড় সমস্যা নিয়ে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরে বৈঠকের বিষয়ে রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে৷’’ পাশাপাশি পাহাড়ের ১১টি জনজাতির তফসিলি উপজাতির তকমা পাওয়ার বিষয়টিও দেড়মাসের মধ্যে ফলপ্রসূ হবে বলেও আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে আমল দিতে চাননি বর্তমান মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাং। তিনি বলেন, “এর আগেও এমন কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ কিন্তু পাহাড়ে অশান্তির সময় একবারও আসেননি। ব্যবস্থাও নেননি। এখন তিনি কি বললেন, তাতে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছি না।”
[বিডিও-র উদ্যোগে কুশমণ্ডিতে গড়ে উঠল আদর্শ গ্রাম]
পাহাড় সমস্যার পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। পশ্চিমবঙ্গকে হাউজিং ফর অল দুর্নীতিতে সেরা বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি৷ একইসঙ্গে, মতুয়া বা নমশূদ্র কেন, বাংলাদেশের কোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভারতে আশ্রয় চাইলে তাঁদের স্বাগত জানানো হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। শিলিগুড়ি পুরনিগমে গত কয়েকদিন ধরে হাউজিং ফর অল নিয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। বাম পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ভেস্তে গিয়েছে বোর্ড মিটিংও। সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতেই রাজ্যের দিকেই তোপ দেগেছেন আলুওয়ালিয়া৷ তিনি বলেন, “গোটা রাজ্যেই হাউজিং ফর অল নিয়ে দুর্নীতি চরমে উঠেছে। সমস্ত পুরসভাতেই এই প্রকল্পে কারচুপি ধরা পড়েছে। রাজ্য কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্প নিজেদের নামে চালিয়ে দিচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, চা বলয়ের উন্নতিতে ১৫০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। সেই টাকা খরচের হিসেব মেলেনি বলেও দাবি জানান তিনি৷ ডুয়ার্সের সাতটি বন্ধ চা বাগান খোলার বিষয়ে কেন্দ্র কোনও সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না বলে এর আগে শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন। এদিনও সে বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে পারেননি দার্জিলিংয়ের সাংসদ৷ বিষয়টি বিচারাধীন বলে এড়িয়ে যান৷
[রাতবিরেতে বিকট শব্দে তটস্থ গোটা গ্রাম, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতের আতঙ্ক]
The post গুরুং আছে ডুয়ার্স বা পাহাড়েই, বিস্ফোরক দাবি আলুওয়ালিয়ার appeared first on Sangbad Pratidin.
