shono
Advertisement
Bandel

গভীর রাতে ব্যান্ডেল স্টেশনের সামনে হকার উচ্ছেদ, রুটিরুজির সম্বল হারিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা

সংসার চলবে কী করে চিন্তায় ব্যবসায়ীরা।
Published By: Subhankar PatraPosted: 10:09 AM Jul 12, 2025Updated: 10:39 AM Jul 12, 2025

সুমন করাতি, হুগলি: আন্দোলনের পরও বাঁচানো গেল না ব্যান্ডেল স্টেশনের সামনে দোকানগুলি। শুক্রবার গভীররাতে বুলডোজার নামিয়ে রেলের তরফে ভেঙে ফেলা হয় সমস্ত দোকান। হকারদের মালপত্র সরিয়ে নিতে বলেছিল রেল। তারপরই রাতে অভিযান চালানো হয়।

Advertisement

ব্যান্ডেল স্টেশনে অমৃত ভারত প্রকল্পের অধীনে কাজ শুরু হবে। সেই জন্য রেলের জায়গায় থাকা দোকানদার উঠে যাওয়ার জন্য নোটিস দেয় রেল। তা নিয়ে শুরু হয় আন্দোলন। রেলের এলাকায় বসবাসকারি বাসিন্দা ও দোকানদাররা পুর্নবাসনের দাবি তোলেন। তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। গত তিনদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি করা হয়। ডেপুটেশন দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুই কাজে এল না। শুক্রবার রাতে ভেঙে ফেলা হল দোকানগুলি।

বেশ কয়েকদিন আগেই রেলের তরফে থেকে নোটিস দিয়ে বলা হয়, দশ তারিখের মধ্যে রেলের জায়গা খালি করে দিতে হবে। অনেকে খালি করে দেন। রেল তাঁদের কথা শুনবে সেই আশায় অনেকে দোকান রেখে দেন। কিন্তু তা হয়নি।

রুটি-রুজির একমাত্র সম্বল হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন হকাররা। প্রায় ৬০ বছর ধরে স্টেশনের সামনে হোটেল চালানো ব্যবসায়ী অপূর্ব মাইতি বলেন, "বাবা-ঠাকুরদার সময় থেকে আমাদের দোকান। রাতে সব গুড়িয়ে দিল। এই দোকানের উপরই নির্ভর করেই সংসার চলত। এখন কী করব তা ভাবছি।" আরেক ব্যবসায়ী বলেন, "সব শেষ হয়ে গেল। কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। সংসার চলবে কী করে? খাব কী জানি না।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • আন্দোলনের পরও বাঁচানো গেল না ব্যান্ডেল স্টেশনের সামনে দোকানগুলি।
  • শুক্রবার গভীররাতে বুলডোজার নামিয়ে রেলের তরফে ভেঙে ফেলা হয় সমস্ত দোকান।
  • হকারদের মালপত্র সরিয়ে নিতে বলেছিল রেল। তারপরই রাতে অভিযান চালানো হয়।
Advertisement