শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: প্রমাণ খুঁজতে জলপাইগুড়ি থেকে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে পাড়ি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও যে সিসিটিভির ফুটেজ দেখতে বৃহস্পতিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি থেকে বিচারপতির মেখলিগঞ্জে আসা শেষ পর্যন্ত সফটওয়্যার না খোলায় ফিরে আসতে হয়। রাতে আদালতে সার্কিট বেঞ্চে ফিরে এসে সফটওয়্যার কলকাতায় প্রিন্সিপাল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একই সঙ্গে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য এবং নির্বাচন দপ্তরকে এভিডেভিড জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
পঞ্চায়েত ভোটে স্ট্রং রুমে অসংগতি হয়েছে এই নিয়ে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ এলাকার নির্দল-সহ মোট ১০ জন প্রার্থী কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বৃহস্পতিবার মামলা উঠেছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। জমা দেওয়া ভিডিও ফুটেজ না খোলায় কীভাবে তা দেখা যাবে জানতে চান বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: নেমেই কাজ শুরু ‘বিক্রম’-এর ক্যামেরার, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ভিডিও পাঠাল চন্দ্রযান ৩]
তাঁকে জানানো হয় মেখলিগঞ্জে একটি সফটওয়্যার আছে যা দিয়ে এই ফুটেজ খোলা যাবে। এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তিনি এখনই মেখলিগঞ্জ যাবেন। এরপর বিকেল ৩.৪০ নাগাদ মেখলিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু সেখানেও সফটওয়্যার না খোলায় জলপাইগুড়ি ফিরে আসেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
রাত আটটা নাগাদ ফের আদালতে শুনানি শুরু করেন। যে সফটওয়্যারটি প্রযুক্তিগত কারণে খুলছিল না সেটিকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়জিত চৌধুরী জানান, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য এবং নির্বাচন দপ্তরকে এভিডেভিড জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। দু’সপ্তাহ পর মামলার আবেদনকারীদের এভিডেভিড জমা দিতে হবে।
মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী কুণালজিৎ ভট্টাচার্য জানান, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিসিটিভি ফুটেজের হার্ডডিক্স প্রিন্সিপাল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামীতে এই মামলার শুনানি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রিন্সিপাল বেঞ্চেই হবে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য ও নির্বাচম কমিশনকে এভিডেভিড জমা দিতে হবে। দু’সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীকে এভিডেভিড জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
