সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে কাঞ্চনকে ভোট প্রচারের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই কাঞ্চনকে নিয়েই লোকসভা ভোটের প্রচার করলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব (Dev)। বিপুল জনসমাগমের মাঝে দুজন মিলে তুললেন সেলফি। আর সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দেব লিখলেন, 'এমনি'। কিন্তু ভোটের এই মরশুমে কি আর 'এমনি' কিছু হয়? মনে করা হচ্ছে, এই এক ছবিতেই শ্রীরামপুরের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ বার্তাটি দিয়ে দিলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী।
ভোটের প্রচারে কাঞ্চনকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চাননি শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কাঞ্চন গেলে গ্রামের মহিলারা ‘রিঅ্যাক্ট’ করছেন বলে তৃণমূল বিধায়ককে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেন কল্যাণ। কোনও বাক্য ব্যয় না করে তাই করেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক। এই ঘটনা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কাঞ্চনের স্ত্রী তথা বাংলা টেলিভিশনের অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ বলেন, “কল্যাণবাবুর এই ব্যবহারে কাঞ্চন হতাশ। স্বাভাবিকভাবেই ওর খারাপ লেগেছে।”
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় পর্বের ভোটের হার কীভাবে আচমকা বৃদ্ধি? প্রশ্ন বিরোধীদের]
এমন পরিস্থিতি ময়দানে নামেন দেব। বরাবর স্রোতের বিপরীতে হাঁটার 'চ্যালেঞ্জ' নেন তিনি। হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে গিয়ে ঘাসফুল শিবিরের তারকা বলেন, "কল্যাণদা তাঁর মতো কাজ করেছেন। কিন্তু আমি চাই, কাঞ্চনদা আমার হয়ে প্রচার করুক। তাহলে ঘাটালে (Ghatal) আমার ভোট বাড়বে। আমি কাঞ্চনদাকে ফোন করে প্রচারে আসার অনুরোধ করেছি। উনি ৩০ তারিখ আমাকে সময় দিয়েছেন।" যেমনি কথা, তেমনি কাজ। মঙ্গলবার অর্থাৎ তিরিশে এপ্রিলই দেবের সঙ্গে প্রচার করতে দেখা যায় কাঞ্চনকে। হাসিমুখেই সেলফি তুলেছেন দুজন।
এই প্রচার পর্ব নিয়ে আবার নেটদুনিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। এক পক্ষের বক্তব্য, "এই জন্যই তুমি দেব... আর কেউ হতে পারবে না... রাজনীতি কীভাবে করা উচিত তা তোমার থেকে শেখার আছে... এখনও রাজনীতিতে তোমার মতো ভালো মানুষ আছে... এটাই স্বস্তি।" আরেক পক্ষের আবার মন্তব্য, "দাদা এনার সঙ্গে থেকো না কখন ৫-৬টা বিয়ে করতে ইচ্ছে করবে। না না তোমার উপর বিশ্বাস আছে, তুমি এনার মতো না। কিন্তু তাও ইনি কিন্তু মন্টু পাইলট।"
এদিকে দেবের জন্য প্রচারের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমকে কাঞ্চন বলেন, "বহু বছর ধরে কাজ করছি একসঙ্গে। দেবের চেহারা যেরকম, মনটা তার থেকেও বড়। আমার মনে হয় কোথাও, যে হাত বাড়ালেই বন্ধু পাওয়া যায়। আর আমি একজন তৃণমূল কর্মী, তৃণমূলের বিধায়ক হিসেবে, বন্ধু হিসেবে, ভাই হিসেবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি চাই, ও আরও আরও আরও বিপুল ভোটে জয় লাভ করুক।"
