পলাশ পাত্র: দুর্ঘটনা নয়, গুলি করে খুন। বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কৃষ্ণনগরে নিহত মহিলা হোমগার্ডের দাদা। তাঁর দাবি, ওই হোমগার্ডের পেটে তিনটি গুলি পাওয়া গিয়েছে। মৃতার পরিবারের দাবি মেনে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কলকাতায় পাঠিয়ে দিয়েছে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সুপার শচীন্দ্রনাথ সরকার জানিয়েছেন, ‘ফরেনসিক বিভাগের মাধ্যমে দেহের ময়নাতদন্ত করাতে চেয়েছেন মৃতার দাদা। আমাদের হাসপাতালে সেই পরিকাঠামো নেই। তাই মৃতদেহটি কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে প্রশাসনিক মহলে।
[কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ বনগাঁয়, গ্রেপ্তার প্রতিবেশী]
নদিয়া জেলা পুলিশে হোমগার্ড পদে চাকরি করতেন দেবশ্রী ঘোষ। কৃষ্ণনগরে পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন তিনি। জেলা পুলিশের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার সকালে যখন পুলিশ লাইনে অস্ত্রাগারে ডিউটি করছিলেন দেবশ্রী, তখন দুর্ঘটনাবশত গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গুলি লাগে পেটে। তড়িঘড়ি গুলিবিদ্ধ ওই মহিলা হোমগার্ডকে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর সহকর্মীরাই। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে দেবশ্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এদিকে পুলিশকর্মীদের একাংশই আবার বলছেন, ঘটনার সময়ে দেবশ্রীর সঙ্গে পুলিশ লাইনের অস্ত্রাগারে ডিউটি করছিলেন মিঠুন মীর নামে আরও একজন। তাঁর রাইফেল থেকেই গুলি ছিটকে বেরোয়।
এই প্রেক্ষাপটে বোনের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলে মেনে নিতে নারাজ দেবশ্রীর দাদা বিপ্লব ঘোষ। খুনের অভিযোগ তুলে সঠিক তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। বিপ্লব ঘোষের বক্তব্য, কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে আলট্রা সোনোগ্রাফিতে দেবশ্রীর পেটে তিনটি গুলি পাওয়া গিয়েছে। যদি দুর্ঘটনাবশতই গুলি চলে থাকে, তাহলে পেটে তিনটি গুলি লাগল কী করে? শুধু তাই নয়, মোটে বিয়াল্লিশ দিন প্রশিক্ষণের পরে কেন ওই মহিলা হোমগার্ডকে পুলিশ লাইনের অস্ত্রাগারে ডিউটি করতে পাঠানো হয়েছিল? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার দাদা। তবে নিহতের দাদার অভিযোগ এই ঘটনায় অন্যরকম মোড় নিচ্ছে, তা বলাই যায়৷
[ জঙ্গলে বিপদ, কুকুরের আক্রমণে প্রাণ গেল তিনটি চিতল হরিণের]
The post কৃষ্ণনগর পুলিশ লাইনে গুলি করে খুন মহিলা হোমগার্ডকে, অভিযোগ দাদার appeared first on Sangbad Pratidin.
