রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: নাগালে থেকেও অধরা ছিল। দুশ্চিন্তায় ছিলেন মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ী, লঞ্চ ও ট্রলারের মালিক সকলেই। ভরা বর্ষায় পাতে ইলিশ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন মাছে-ভাতে বাঙালি। ভোজনরসিকদের জন্য খুশির খবর৷ মঙ্গলবার ১০০টন ইলিশ উঠল দিঘায়। দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানান, ‘চলতি বছর এদিনই রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ উঠল দিঘায়৷’ সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিন আরও বেশি পরিমাণ ইলিশ আমদানি হবে।
[রাষ্ট্রপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পড়ুয়ার উত্তরে চোখ কপালে প্রশ্নকর্তার]
চলতি বছর সঠিক সময়েই বঙ্গে এসেছে বর্ষা রানি৷ কিন্তু শুরুতে সেভাবে নিজের দাপট দেখাতে পারেনি সে৷ পরে একের পর এক নিম্নচাপের ধাক্কায় ক্ষমতা বাড়িয়েছে বর্ষা৷ প্রবল বৃষ্টিতে সপ্তাহখানেক সমুদ্রে যেতে পারেননি মৎস্যজীবীরা৷ জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে লাগাতার নিম্নচাপে সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁরা৷ দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। ইলিশ নাগালে থাকলেও আমরা দুর্যোগের কারণে মাছ ধরতে পারিনি।’’ কয়েকদিন আগে আবহাওয়া অনুকূলে হতেই সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। মঙ্গলবার ইলিশ নিয়ে পাড়ে ফেরেন তাঁরা৷ রূপোলি শস্য নিয়ে সমুদ্রে ফিরে বেজায় খুশি মৎস্যজীবীরা।
[রাজ্যের আকাশে ফের ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা]
রেকর্ড সংখ্যক ইলিশ ওঠায় আকাল মিটবে রাজ্য জুড়ে। দামও আরও সস্তা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷ যা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের জন্য অবশ্যই সুখবর৷ এদিন দিঘা মোহনার পাইকারি বাজারে ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি হয় ৩০০-৩৫০ টাকায়৷ ১ কেজি ওজনের রূপোলি শস্য বিক্রি হয় ৫৫০-৬০০টাকায়। তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ইলিশের দাম কিন্তু সেভাবে পড়েনি। কলকাতার তুলনায় দিঘা সংলগ্ন এলাকার বাজারে ইলিশের দাম ছিল তুলনামূলক বেশি। কারণ, সমুদ্র থেকে ইলিশ দিঘা মোহনার পাইকারী বাজারে পৌঁছতেই ব্যবসায়ীরা কলকাতার বাজারে রপ্তানি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ফলে জেলার মানুষের ইলিশেরর চাহিদা সেভাবে পূরণ না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে।
[ফের বিনা চিকিৎসায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগ, জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ধুন্ধুমার]
The post ভোজনরসিকদের জন্য সুখবর, দিঘায় উঠল ১০০ টন ইলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.
