রাজা দাস, বালুরঘাট: বাঁশবাগানের মালিকানা নিয়ে গন্ডগোলের জের। মারধরের পর মা ও মেয়েকে ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানায় সর্বমঙ্গলা এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত নির্যাতিতা মহিলার প্রতিবেশী ফাসিউদ্দিন মিয়া-সহ বেশ কয়েজন। মঙ্গলবার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করেতে পারেনি। গোটা ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত মা-মেয়ে দুজনেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে মেয়েকেও মারধর করা হয়েছে। তারপর তাঁদেরই বাড়িতে টেনে নিয়ে গিয়ে ঘরের মধ্যে পরনের কাপড় ছিঁড়ে দেয় ফাসিউদ্দিন মিয়া ও তার দলবল। সঙ্গে চলে বেধড়ক মারধর। পরে তাঁরা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। ফাসিউদ্দিন ও তার দলের লোকেদের এলাকায় খুব একটা সুনাম নেই। মদও জুয়ার আসর বসানো থেকে শুরু করে যেনতেন প্রকারেণ বাসিন্দাদের হেনস্তা করার বহু অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
[স্ত্রী থাকতেও গোপনে অন্য মহিলাকে বিয়ে! ধৃত ‘গুণধর’ যুবক]
জানা গিয়েছে, আক্রান্তরা সর্বমঙ্গলা এলাকার সম্পন্ন গৃহস্থ। চাষবাস করেই সংসার চলে যায়। বেশকিছু দিন ধরে বাড়ি লাগোয়া বাঁশবাগান নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। প্রতিবেশী ফাসিউদ্দিন মিয়ার দাবি বাঁশবাগানের মালিকানা তার নামে লিখে দিতে হবে। গৃহবধূর স্বামী সেই দাবি মানেননি। সেকারণইে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেলে স্বামীর সঙ্গে বাজারে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। এই সময় ফাসিউদ্দিন মিয়া-সহ তার দল ওই দম্পতির উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। চলে বেধড়ক মারধর। এদিকে মা-বাবাকে আক্রান্ত হতে দেখে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে তাঁদের একমাত্র মেয়ে। অভিযোগ, এবার দম্পতিকে ফেলে মেয়েক নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। মেয়ের হেনস্তা মা মানতে পারেননি। বাধা দিতে গেলে দু’জনকেই তাঁদের বাড়িতে টেনে নিয়ে যায় ফাসিউদ্দিনের লোক। পরনের কাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানি করা হয়। এরপরই স্ত্রী ও মেয়েকে থানায় নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন গৃহবধূর স্বামী। তারপর তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
