দেবব্রত মণ্ডল, কুলতলি: যাদবপুরের ঘটনায় বুধবার সকালেই ছ’জনকে গ্রেপ্তার করে লালবাজার পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলি এলাকার বাসিন্দা যাদবপুরের পড়ুয়া অসিত সরদার। তবে এই ঘটনার সঙ্গে ওই ছাত্র কোনওভাবেই জড়িত নয়, দাবি তাঁর পরিবারের লোকজন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থেকে গ্রেপ্তার হয় অসিত সরদার। পড়ুয়ার মৃত্যুর পরের দিনই বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেদিনের ঘটনা নিয়ে বাড়িতে আলোচনাও করেন। তবে এই ঘটনায় তাঁর আচার-আচরণে কোনও প্রভাব পড়েনি বলেই জানাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। অসিতের পরিবার সূত্রে খবর, তিনি বাড়িতে বলে গিয়েছিল থানা থেকে ডেকেছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদবপুর থানায় ডাকা হয়। মঙ্গলবার সন্ধেয় বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। গভীর রাতে পুলিশ এসে অসিতকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনার সঙ্গে অসিত কোনওভাবেই যুক্ত না, দাবি ধৃতের মা সুমিত্রা মণ্ডলের।
[আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে প্রাধান্য বিজেপি সমর্থকদের! রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কুণাল]
অসিতের মা বলেন, “আমার ছেলে নির্দোষ। এই ঘটনার সঙ্গে ও যুক্ত নয়। ও বাড়িতে এসেছিল। সবার সঙ্গে কথাবার্তা, গল্প করেই কাটাচ্ছিল সময়। ওর আচরণে অন্য কোনওরকম বিষয় লক্ষ্য করা যায়নি।” তাঁর দাবি, “ওইদিন কী ঘটনা ঘটেছে সেটা আমাদের বলেছিল। কী দেখেছে সেটাও আমাদের বলেছিল। এর বেশি কিছু নয়।” অসিতের পরিবারের আরেক সদস্য জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেলে থাকত সে। তৃতীয় বর্ষের পড়াশোনা শেষ হয়ে গিয়েছে। এরপর ওই একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ করার পরিকল্পনা করেছিল সে। আগামী দিনে ফের উচ্চতর শিক্ষার জন্য যাদবপুরেই ভরতি হওয়ার কথা ছিল তাঁর।
