shono
Advertisement

মন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠতা’র প্রভাব খাটিয়ে আত্মীয়কেও চাকরি? জোর গুঞ্জন অর্পিতার মাসির পাড়ায়

অর্পিতার মাসির অবশ্য দাবি, ছেলে খুব সাধারণ চাকরি করে।
Posted: 04:45 PM Jul 24, 2022Updated: 06:42 PM Jul 24, 2022

অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: কোটি কোটি টাকা, বিলাসবহুল একাধিক ফ্ল্যাট, তিন তিনটি নেল আর্ট পার্লারের মালকিন – এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পত্তি দেখে বিস্মিত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) আধিকারিকরা। কার প্রভাবে এত ফুলেফেঁপে উঠেছিলেন ২৮ বছরের মডেল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তাঁরা। অর্পিতার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ নিয়ে জোর আলোচনা, গুঞ্জন। কলকাতা ছাড়িয়ে সেই রেশ আছড়ে পড়ল হাওড়াতেও। ডোমজুড়ে অর্পিতার মাসির বাড়ির পাড়ায় গেলে শোনা যাচ্ছে, অর্পিতা নাকি মন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার প্রভাব খাটিয়ে মাসতুতো ভাইয়ের চাকরিও করে দিয়েছিলেন। যদিও তাঁর মাসি জানাচ্ছেন, ছেলে সাধারণ একজন কর্মী।

Advertisement

হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড়ে বাড়ি অর্পিতার মাসি স্মৃতি মুখোপাধ্যায়ের। বোনজির এহেন কাণ্ডকীর্তির কথা শুনে তিনি কার্যত স্তম্ভিত। অর্পিতাকে তো এমন মেয়ে বলে দেখেননি কখনও। খুব কমই মাসির বাড়ি যেতেন অর্পিতা। মাস খানেক আগেই বোনকে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদুর সঙ্গে দেখা করতে। বলছেন স্মৃতিদেবী। কী করতেন অর্পিতা? মাসি জানালেন, খুব কম বয়স থেকেই মডেলিং, অভিনয় করতেন। সেইসূত্রে বেলঘরিয়ার বাড়ি ছেড়ে কলকাতার ফ্ল্যাটে গিয়ে থাকা। এর বেশি কিছু তিনি জানেন না। কোন মন্ত্রী, কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে অর্পিতার যোগাযোগ আছে, সেসব অজানা। এই খবর শুনে তিনি দিদি অর্থাৎ অর্পিতার মায়ের জন্য বেশি চিন্তিত।

[আরও পডুন: পার্থর গ্রেপ্তারির কোনও প্রভাব পড়বে না, এবার দুর্গাপুজোয় বড় চমক দিতে প্রস্তুত নাকতলা]

এদিকে, পাড়ায় কিন্তু ঘুরছে অন্য খবর। প্রতিবেশী প্রভাত কর্মকার বলছেন, স্মৃতিদেবীর ছেলে তাঁর ছেলের বন্ধু। ওই ছেলের কোনও আত্মীয়া তাঁকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। এমনকী প্রভাতবাবুর ছেলেকেও চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে সন্দেহ ছিল প্রভাতবাবুর। তিনি নিজের ছেলেকে এসবে কান দিতে বারণ করেছিলেন। তাঁর দাবি, অর্পিতাই নাকি প্রভাব খাটিয়ে নবান্নে (Nabanna) মাসতুতো ভাইয়ের চাকরি করিয়ে দিয়েছিলেন।  তবে মাসি কিন্তু বলছেন, তাঁর ছেলে ধর্মতলায় একটি সাধারণ চাকরি করেন। খুব মিথ্যে যে বলছেন না, তা বোঝা যায় তাঁর বাড়িঘর দেখেই। নিতান্তই ছাপোষা একতলা বাড়ি। স্বচ্ছলতার কোনও ছাপই নেই। 

[আরও পডুন: আজ দিনভর মেঘলা আকাশ, সোমবার বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রাজ্যের এই জেলাগুলিতে]

আসলে ফ্ল্যাট থেকে কোটি টাকা উদ্ধারের পর অর্পিতার এত প্রভাবশালী যোগ নিয়ে সকলেই বিস্মিত। মডেলিং, অভিনয়ের প্রতি তাঁর ঝোঁক যেমন সকলেই জানেন, ঠিক ততটাই অজানা তাঁর এই সেলিব্রিটি জীবনযাপন। বিশেষত আত্মীয়রা বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে ২১ কোটি টাকা লুকিয়ে রাখার দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছে মেয়ে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার