বাবুল হক, মালদহ: একটি আসনের দাবিদার অন্তত চার। চাহিদা না কি তুঙ্গে! আর এই সুযোগেই না কি পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023 )টিকিট বিক্রি? কত দাম? একটি টিকিটের ন্যূনতম দাম না কি এক লক্ষ টাকা! তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে টিকিট বিক্রির এমনই চাঞ্চল্যকর ও গুরুতর অভিযোগ তুলে মনোনয়ন পর্বেই দল ছাড়লেন মালদহের এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধান।
সোমবার তৃণমূলের এই প্রধান ও উপপ্রধান দলত্যাগ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সির বিধানসভা এলাকা মালতিপুরে। যদিও তৃণমূলের (TMC) দাবি, ওই প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় দল তাঁদের প্রার্থী না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টিকিট না পেয়ে এই সব ভিত্তিহীন কথা বলে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না।
[আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘এত লোডশেডিং কেন?’, উত্তর খুঁজতে সটান বিদ্যুৎ ভবনে শুভেন্দু অধিকারী]
মালদহের (Maldah) মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গৌরহন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান ডলি মণ্ডল ও উপপ্রধান পঞ্চানন দাস এদিন দুপুরে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁদের সঙ্গে আরও দুই শতাধিক কর্মী বিজেপিতে গিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। গৌরহন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Election) প্রধান ও উপপ্রধান প্রকাশ্যেই অভিযোগ তোলেন, “তৃণমূলের টিকিট পাওয়ার জন্য গুণতে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অঞ্চল সভাপতিদের মাধ্যমে সেই টাকা জেলায় পৌঁছে যাচ্ছে। আমরা কড়কড়ে এক লক্ষ টাকা দিয়ে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের টিকিট নিতে রাজি হইনি। এর প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলাম।”
দুপুরে মালতিপুরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় উপস্থিত হয়ে বিজেপির পতাকা ধরেন ডলি মণ্ডল ও পঞ্চানন দাস।পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে মনোনয়নের তৃতীয় দিনে এই যোগদান ঘিরে মালতিপুরের গৌড়হন্ডে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। যদিও তৃণমূল শিবির টিকিট বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি বলেন, “তৃণমূলে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন মানুষদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। টিকিট পাবেন না বলেই দল ছেড়েছেন তাঁরা। বিজেপি টিকিটের প্রলোভন দেখিয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের যোগদান করিয়ে ভোটের বাজার গরম করার চেষ্টা করছে। তাতে ওঁদের কোনও লাভ হবে না।”
