অমিতলাল সিং দেও, মানবাজার: যত্রতত্র পড়ে রয়েছে আবর্জনা। কেউ মুখে রুমাল চেপে, কেউ শাড়ির আঁচল ঢেকে যাতায়াত করছেন। এই চিত্র এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। এমনই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা করাতে আসতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের পরিবারকে।
জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দক্ষিণ পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে স্বাস্থ্যদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে। বান্দোয়ান বিধানসভার বিধায়ক তথা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রাজীবলোচন সোরেন বলেন,” বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযোগ, প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ সাফাই কাজ। বেহাল দশা প্রসব কক্ষ থেকে জরুরি বিভাগ সর্বত্র। সেখানকার সমস্ত উচ্ছিষ্ট উপচে পড়ছে ডাস্টবিনে। শুধু হাসপাতাল অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগ নয়। হাসপাতালের চার পাশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে আবর্জনা। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। বর্ষায় বৃষ্টির জল জমে হাসপাতালের ভিতরেই তৈরি হয়েছে মশার আঁতুড়ঘর। হলদে গাঢ় জমা জলে কিলবিল করছে মশার লার্ভা। তবুও একপ্রকার বাধ্য হয়েই এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে আসছেন রোগী ও তাঁদের পরিবার। এক মুহূর্তের জন্য নাক-মুখের চাপা সরালে হাসপাতালে থাকা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।
[আরও পড়ুন: মারধরে এক এক করে তিন সন্তানের মৃত্যু, অবশেষে পুরুলিয়ায় গ্রেপ্তার মদ্যপ বাবা]
এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শুধু রোগী বা তাঁদের পরিজনেরাই বিপাকে পড়েননি। সমস্যায় পড়েছেন অ্যাম্বুলেন্স চালক থেকে হাসপাতালে ডিউটিতে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার্সরাও। এমনকী চিকিৎসক ও সেবিকারাও। কিন্তু কেনো এমন পরিস্থিতি? বান্দোয়ান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কাজীরাম মুর্মু জানান, “নিকাশি ব্যবস্থা ছাড়াই হাসপাতালের ভবন নির্মানের ফলে প্রতি বছর বর্ষায় জল জমে। অন্যদিকে হাসপাতালের আবর্জনা সাফাইয়ের দায়িত্বে থাকা সংস্থার চুক্তি সমাপ্ত হয়ে যাওয়ায় সাফাই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গোটা বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে।” এহেন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা করাতে এসে ক্ষোভে ফুঁসছে রোগীর পরিবার।
