জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরে অশান্তির ঘটনায় এখনও থমথমে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় বিএমওএইচ একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া আরও দু’টি মামলা রুজু হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকাল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরকে কেন্দ্র করে থমথমে ছিল ঠাকুরবাড়ি চত্বর। একদিকে অভিষেককে স্বাগত জানাতে সেজে উঠেছিল এলাকা। অন্যদিকে মতুয়া মহাসংঘের মাঠে সভার আয়োজন করেন শান্তনুপন্থী মতুয়ারা। অভিষেক যাওয়ার আগেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দিরের মূল গেট। হাতাহাতিতে জড়ায় মতুয়াদের দু’পক্ষ। উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরবাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর আহত শান্তনুপন্থী মতুয়া অর্থাৎ বিজেপি সমর্থকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে ডিফেন্স অডিট দপ্তরের গোপন ছবি ‘বন্ধু’কে পাঠিয়ে গ্রেপ্তার মহিলা]
অভিযোগ, সেখানে বিজেপি সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পালটা দেয় বিজেপি। দু’পক্ষের হাতাহাতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান শান্তনু ঠাকুর। তাঁর অভিযোগ, পুলিশের সামনেই অশান্তি ও মারধর করেছে তৃণমূল, কিন্তু তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে হাসপাতালে বিশাল পুলিশবাহিনী। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুলু পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেন গাইঘাটার বিএমওএইচ। এছাড়াও দু’টি মামলা রুজু হয়েছে। ঠাকুরনগরে অশান্তির ঘটনায় চলছে জোর রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “হাজার হাজার পুলিশ নিয়ে ঘুরছেন। কেন তামঝাম নিয়ে গিয়েছেন? এতদিন কেন ঠাকুরের কথা মনে পড়েনি? ঠাকুরবাড়ি যেতে পারতেন। নিজের বাড়ির কাছে কালীঘাট কতবার গিয়েছেন আমার সন্দেহ আছে! এসব নাটক বন্ধ করুন। ঠাকুরবাড়ি গিয়ে মাথা ঠুকলেই কি মতুয়ারা সব আপনাদের পুজো করবে? তাদের সঙ্গে যা ব্যবহার করেছেন তাঁরা ভোলেননি।”
