shono
Advertisement

মমতাকে বাঁচানোয় খুইয়েছিলেন চাকরি, ২১ বছর পর ফের উর্দিতে গোরবডাঙার সিরাজুল

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সিরাজুল ইসলামের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ The post মমতাকে বাঁচানোয় খুইয়েছিলেন চাকরি, ২১ বছর পর ফের উর্দিতে গোরবডাঙার সিরাজুল appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 09:19 PM Jul 21, 2018Updated: 04:28 PM Jul 22, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  ২১ জুলাই ১৯৯৩৷ দিনটার কথা মনে পড়লে এখনও চমকে ওঠেন৷ নিজে পুলিশ কর্মী হয়েও ২১ জুলাই পুলিশি অত্যাচারের কথা বলতে গিয়ে এখনও শিউরে ওঠেন৷ বলতে বলতে থমকে যান৷ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এখনও দু’চোখে জল আসে বছর ৫০-এর পুলিশ কর্মী সিরাজুল ইসলামের৷ বলতেও ভয় পান৷ কষ্টে গুমরে ওঠেন, তৎকালীন কংগ্রেসনেত্রী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা পুলিশকর্মী সিরাজুল৷ পুলিশের বন্দুকের মুখ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচানোর মাশুলও গুনতে হয়েছে তাঁকে৷ মমতাকে বাঁচানোর অপরাধে বরখাস্ত হয়েছিলেন৷ কিন্তু, অবশেষে এল সুদিন৷ প্রায় ২১ বছর চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর অবশেষে চাকরিতে ফিরতে চলেছেন পুলিশ কর্মী সিরাজুল ইসলামের৷

Advertisement

[তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব ফেরাল কংগ্রেস, সিপিএম]

উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার ইছাপুর ভদ্রডাঙ্গা গ্রাম৷ চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর কোনওক্রমে মা-বাবা-ভাই ও বোনকে নিয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিরাজুল৷ পুলিশের চাকরি হারিয়ে সাইকেলে মুদিখানার জিনিস ফেরি করে সংসার চালান৷ দিনে ১০০-১৫০ টাকার উপার্জনেই চলে নুন আনতে পানতা ফোরানো সংসার৷ ফেরি করে সংসার চালালেও নিজের অধিকার রক্ষার লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন ঘাম-রক্ত দিয়ে৷ লড়েছেন দীর্ঘ মামলা৷ অবশেষে মিলেছে সুবিচার৷ প্রায় ২১ বছর পর পুলিশের চাকরি ফিরে পেতে চলেছেন সিরাজুল ইসলাম৷

১৯৮৮ সালের ১৯ জানুয়ারি৷ নিজের যোগ্যতায় পুলিশে চাকরি পান সিরাজুল৷ ১৯৯৩-এর ২১ জুলাই মহাকরণের নিরাপত্তার ডিউটি দেওয়া হয় তাঁকে৷ কিন্তু, ওই দিনেই যে তাঁকে এতবড় মাসুল দিতে হবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি৷

[ব্রিগেড সমাবেশে সনিয়াকে আমন্ত্রণ মমতার, ফেডারেল ফ্রন্ট দিয়েই দিল্লি দখলের ঘোষণা]

তৎকালীন যুব কংগ্রেসনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকরণ অভিযানের ডাক দেন৷ ব্রেবন রোড দিয়ে মিছিল এগোতেই পথ আটকে দাঁড়ায় পুলিশ৷ কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়৷ লাঠিচার্জের নির্দেশ দেয় পুলিশ৷ পুলিশের লাঠির বাড়িতে মাথা ফাটে মমতার৷ বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জের প্রতিবাদ করেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের এসআই নির্মল বিশ্বাস, সার্জেন্ট প্রদীপ সরকার ও কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম৷ মমতাকে বাঁচাতে সেদিন বিদ্রোহী সিরাজুল পুলিশ কর্তাদের দিকেই বন্দুক উঁচিয়ে প্রতিবাদ করেন৷ মুহূর্তেই মমতাকে আড়াল করেন সিরাজুল৷ এই ঘটনার পরই লালবাজারের বড় কর্তার নজরে পড়েন তিনি৷ ১৯৯৬ সালে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন সিরাজুল৷ ১৮ বছর আইনি লড়াই করার পর চাকরি ফিরে পান নির্মল বিশ্বাস৷ সার্জেন্ট প্রদীপ সরকারকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়৷ আর সিরাজুল ইসলাম হাইকোর্টে মামলা করেও বেশিদিন লড়তে পারেননি৷ পরে, কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমের সহযোগিতায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সিরাজুল ইসলামকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে নিয়ে যান৷ সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সিরাজুল ইসলামের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়৷

The post মমতাকে বাঁচানোয় খুইয়েছিলেন চাকরি, ২১ বছর পর ফের উর্দিতে গোরবডাঙার সিরাজুল appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement