সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যানিংয়ে (Canning) নিহত তিন নেতা-কর্মীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ তৃণমূল প্রতিনিধি দলের। প্রত্যেক পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। স্বজনহারাদের পাশে থাকার আশ্বাস তৃণমূল প্রতিনিধি দলের।
নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, শনিবার বেলা দেড়টা নাগাদ চারজন সাংসদ, একজন প্রতিমন্ত্রী-সহ তৃণমূলের ১৩ জনের প্রতিনিধি দল ক্যানিংয়ের ধর্মতলা এলাকায় যান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মালা রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শওকত মোল্লা-সহ আরও দশজন। নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। স্বজনহারাদের হাতে তুলে দেওয়া আর্থিক সাহায্য। এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপিকেই দায়ী করেন মালা রায়। তিনি বলেন, “বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত। কিছু ধান্দাবাজ দলও যোগ দিয়েছে এই ঘটনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা শান্তির বাংলা গড়ার চেষ্টা করছি। তৃণমূল এসব বরদাস্ত করবে না। ৪ লক্ষ টাকা করে তিনটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় নেতৃত্ব পরিবারগুলির পাশে আছে।”
[আরও পড়ুন: বিচ্ছেদ আটকাতে দম্পতিকে ইকো পার্কে ঘোরার পরামর্শ, ঘর বুকিংও করলেন হাই কোর্টের বিচারপতি]
সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অভিযোগ একই। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে। কড়া শাস্তি হবে দুষ্কৃতীদের। জনবিচ্ছিন্ন ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। উত্তরপ্রদেশ নয় এটা। ন্যায়বিচার পাবে পরিবার। পায়ের তলায় মাটি পাচ্ছে না বলে কাউকে কাউকে কাজে লাগিয়ে এসব করছে বিজেপি। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।” বিধায়ক শওকত মোল্লাও বিজেপিকে দুষে বলেন, “প্রথম দিন যা বলেছি আজও তাই বলছি। বিজেপি আশ্রিত সমাজবিরোধীরা এ কাজ করেছে। শুভেন্দু অধিকারীরা যেভাবে বাংলাকে উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাট বানানোর চেষ্টা করছে, তা হবে না। মাটির তলায় গা ঢাকা দিলেও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে। কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানাই।”
উল্লেখ্য, একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে গত বৃহস্পতিবার খুন হন পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি এবং তাঁর দুই সহকর্মী ঝন্টু হালদার ও ভূতনাথ প্রামানিক। শুক্রবার ঘটনার তদন্তে গঠিত হয় পাঁচ সদস্যের সিট (SIT)। আর ঠিক ওই রাতেই ক্যানিংয়ে তিন তৃণমূল নেতা-কর্মী খুনের তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। আফতাবউদ্দিন শেখ নামে ওই অভিযুক্তকে কুলতলি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আফতাবউদ্দিন এফআইআরে নাম থাকা বশির শেখের দাদা।