সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিশুদের দেখভাল করার জন্য আনা হয়েছিল। কিন্তু বাড়ির সব কাজই করতে হত। আর পান থেকে চুন খসলেই কপালে জুটত বেধড়ক মার। কোচবিহারে খোদ জয়েন্ট বিডিও-র বাড়িতেই নাবালিকা পরিচারিকার উপর অত্যাচার করতেন তাঁর স্ত্রী ও মা। মঙ্গলবার রক্তাক্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জয়েন্ট বিডিও-র স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
[ঘুমন্ত শিশুকে টেনে নিয়ে খুবলে খেল চিতাবাঘ, আতঙ্ক ডুয়ার্সের চা বাগানে]
আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের জয়েন্ট বিডিও অংশুমান দত্ত। কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে সপরিবারে থাকেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরে জয়েন্ট বিডিও-র বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছিল বছর তেরোর এক কিশোরী। মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠতে আধঘণ্টা দেরি হয়ে গিয়েছিল তার। স্রেফ এই অপরাধে ওই নাবালিকাকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন জয়েন্ট বিডিও-র স্ত্রী ও মা। অভিযোগ, মারের চোটে ওই কিশোরী যখন কান্নাকাটি করছে, তখন কান্না থামানোর জন্য তার মাথায় আঘাত করেন জয়েন্ট বিডিও-র স্ত্রী শুভ্রা দত্ত। শেষপর্যন্ত ওই কিশোরীর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাকে ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে।
আক্রান্ত নাবালিকার বাড়ি আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়ায়। বাবা-মা প্রয়াত। পাঁচ ভাই-বোনের সঙ্গে ওই নাবালিকা থাকত মামার বাড়িতে। আক্রান্তের দাবি, কয়েক মাসের মধ্যে আধার কার্ড ও বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে নিজের বাড়িতে এনেছিলেন কালচিনির জয়েন্ট বিডিও অংশুমান দত্ত। এমনকী, বিয়েও দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে আলিপুরদুয়ারের কালচিনির বিডিও অবশ্য জানিয়েছেন, পদোন্নতি হওয়ায় ট্রেনিংয়ে আছেন জয়েন্ট বিডিও। ট্রেনিং শেষ হলেই পোস্টিং পাবেন তিনি। জয়েন্ট বিডিও পদে আর বেশিদিন থাকবেন না। দিন কয়েক আগে থানায় ঢুকে এক যুবককে মারধর করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের তখনকার জেলাশাসক নিখিল নির্মল। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে রাজ্য। শেষপর্যন্ত ২০১১ ব্যাচের ওই আইএএস অফিসারকে জেলাশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য প্রশাসন। নিখিল নির্মলের স্ত্রী সম্পর্কে ওই যুবক ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস
[ রহস্যজনকভাবে মারা পড়ছে পাখি থেকে শিয়াল, ফালাকাটায় আতঙ্ক]
The post নাবালিকা পরিচারিকাকে মারধর, আটক জয়েন্ট বিডিও-র স্ত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.
