shono
Advertisement
SIR

২০০২-এর তালিকায় নেই মা, জন্মশংসাপত্রে আগের পক্ষের বাবার নাম, SIR হিয়ারিংয়ে কান্না তরুণীর

মানু বুঝতে পারছেন না, বাবার মৃত্যুর শংসাপত্র কোথায় পাবেন তিনি?
Published By: Kousik SinhaPosted: 10:27 PM Dec 27, 2025Updated: 10:27 PM Dec 27, 2025

রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: শনিবার থেকে এসআইআর-এর শুনানি শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। সেই শুনানিতেই ডাক পেয়েছেন ২৮ বছরের মানু মিত্র। নির্দিষ্ট জায়গায় শুনানিতে হাজিরও হন তিনি। তাঁর কাছে তাঁর জন্মদাতা বাবার ডেথ সার্টিফিকেট চাওয়া হয়। আর সে কথা শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তরুণী। 'প্রথম বাবা'র কোনও নথিই নাকি তিনি দিতে পারবেন না।

Advertisement

আসলে ২০০২ সালের তালিকায় নাম নেই মায়ের। ফলে মানু মিত্রকে দিতে হবে তাঁর জন্ম সার্টিফিকেট। কিন্তু সেখানে বাবা হিসেবে যাঁর নাম আছে, লাগবে তাঁর তথ্য। সেই নিয়েই জটিলতা। কারণ ২৮ বছর আগে মায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে সেই বাবার। ইতিমধ্যে সেই ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে। মানু বুঝতেই পারছেন না, বাবার মৃত্যুর শংসাপত্র কোথায় পাবেন তিনি?

রানাঘাটের বাসিন্দার ওই যুবতীর জন্ম ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাসে। সেই সময় জন্ম সার্টিফিকেটে এবং স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে বাবা হিসেবে প্রবীর দাসের নাম ব্যবহার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে মা এবং বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। দ্বিতীয়বারের জন্য তাঁর মা বিয়ে করেন রানাঘাটের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দার তিমির ঘোষকে। তিমির ঘোষই আপাতত মানু মিত্রের বাবা। সেই বাবার পরিচয়ে তাঁদের ভোটার এবং আধার কার্ড তৈরি হয়। কিন্তু ২০০২ সালের তালিকায় মায়ের নাম না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন যুবতী।

এই যুবতী বর্তমানে বিবাহিত। বর্তমানে দ্বিতীয় বাবার নাম অনুসারে সমস্ত ঠিকানা ও বাবার নামের তালিকা পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু তাড় জন্ম সার্টিফিকেটে রয়ে গিয়েছে সেই আগের বাবার নাম। স্বাভাবিক ভাবেই এসআইআর নিয়ে একটা অদ্ভুত জটিলতায় পড়েছেন ওই যুবতী।

শুনানিতে ডাক পড়ায় শনিবার রানাঘাট এসডিও অফিসে উপস্থিত হন মানু। হিয়ারিং করিয়ে অফিসের বাইরে বেরিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। জন্মদাতা বাবার ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিতে না পারলে যদি নাম কেটে যায়! এমনই আশঙ্কায় কান্নাকাটি করছেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • আসলে ২০০২ সালের তালিকায় নাম নেই মায়ের। ফলে মানু মিত্রকে দিতে হবে তাঁর জন্ম সার্টিফিকেট।
  • সেখানে বাবা হিসেবে যাঁর নাম আছে, লাগবে তাঁর তথ্য।
  • সেই নিয়েই জটিলতা। কারণ ২৮ বছর আগে মায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে সেই বাবার।
Advertisement