সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদের আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে যোগ দিতে হবে সব সাংসদকে। হুইপ জারি করল বিজেপি। আগামী ১৮-২২ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্র। ওই পাঁচদিনই দলের সব সাংসদকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে গেরুয়া শিবির। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
বুধবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনের (Parliament Special Session) আলোচ্যসূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, ভারতীয় গণতন্ত্রের ৭৫ বছরে ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করা হবে ওই বিশেষ অধিবেশনে। আসলে এই বিশেষ অধিবেশনেই পুরনো সংসদকে বিদায় জানিয়ে নতুন সংসদে প্রবেশ করবে সরকার। আলোচনার পাশাপাশি বিশেষ ওই অধিবেশনে চারটি বিল পেশ করবে সরকার। সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বিল। সেই সঙ্গে পোস্ট অফিস বিল, অ্যাডভোকেট সংশোধনী বিল এবং প্রেস ও রেজিস্ট্রেশন বিল পেশ হবে।
[আরও পড়ুন: ‘INDIA জোট ক্ষমতায় এলে গ্রেপ্তার হবেন শুভেন্দু’, ED দপ্তর থেকে বেরিয়ে হুঁশিয়ারি অভিষেকের]
অর্থাৎ, এজেন্ডায় বিতর্কিত কোনও বিল নেই। সরকার যে চার বিল পেশ করার কথা বলছে, তাতে স্রেফ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ ছাড়া বাকি বিলগুলিতে বিশেষ আপত্তিও নেই বিরোধীদের। তাহলে কেন দলের সব সাংসদকে এভাবে তড়িঘড়ি হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল? তাহলে কি ঘোষিত চার বিলের বাইরেও কোনও গোপন অ্যাজেন্ডা রয়েছে কেন্দ্রের? উঠছে প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: ‘১৩ মাস আগে গ্রেপ্তার করেছেন কিন্তু…’, ইডি দপ্তর থেকে বেরিয়ে অভিষেকের মুখে পার্থর নাম]
কংগ্রেস অবশ্য সে আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছে। কংগ্রেসের প্রচার বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছেন,”আমি নিশ্চিত আসল বিলের গ্রেনেড আস্তিনে লুকিয়ে রেখেছে। একদম শেষ মুহূর্তে সেগুলো বের করা হবে। পর্দার পিছনে অন্য কিছুই আছে।” অর্থাৎ কংগ্রেসের আশঙ্কা, যেসব বিল আসা নিয়ে জল্পনা ছিল সেগুলো শেষ মুহূর্তে আস্তিন থেকে বের করতে পারে মোদি সরকার।