শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: সাতসকালে ভয়ংকর কাণ্ড। দরজা খুলতেই উঠোনে মিলল এক প্রৌঢ়ের গলাকাটা দেহ। কিছুটা দূরে ধানখেত থেকে উদ্ধার কাটা মুন্ডু। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের ( Hemtabad) এলাকায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। খুনের কারণ নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মোস্তাক। বয়স আনুমানিক ৫৭ বছর। আদতে মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা তিনি। তবে প্রায় আট বছর ধরে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বাঙালবাড়ি মোড়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। ফেরিওয়ালার কাজ করতেন। শুক্রবার সকালে হেমতাবাদের দেউচি হাইস্কুল সংলগ্ন কালিন্দি এলাকার বাসিন্দা এক বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয় মোস্তাকের গলাকাটা দেহ। বাড়ির সদস্যরা দরজা খুলতেই দেখেন পড়ে রয়েছে দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দেহ উদ্ধারের পর তল্লাশি চালানো হয় এলাকায়। তখনই কিছুটা দূরে ধানখেতে মেলে কাটা মুন্ডু। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: শীতলকুচিতে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড, স্বামী ও মেয়ে-সহ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে কুপিয়ে খুন!]
কিন্তু কেন এই হত্যাকাণ্ড? সূত্রের খবর, মালদহে থাকাকালীন দুষ্কৃতী কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন মোস্তাক। পরবর্তী কালে সেসব থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন। থাকতে শুরু করেন হেমতাবাদে। সম্ভবত সেই কারণেই খুন। এই ঘটনায় একটি বড় প্রশ্ন, কীভাবে ভাড়া বাড়ি থেকে এত দূরে গেলেন মোস্তাক? মনে করা হচ্ছে, ফেরি করতেই বেরিয়েছিলেন মোস্তাক। সেই সময় খুন করে দুষ্কৃতীরা। এর সঙ্গে দুষ্কৃতী যোগের আশঙ্কা করছে তদন্তকারীরা।