সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারাবছর মাকে ছেড়ে হস্টেলে থাকে। মায়ের জন্মদিনেও সে কাছে থাকতে পারবে না। তাই হস্টেলের ওয়ার্ডেনকে অনুরোধ করেছিল, তাঁর ফোন থেকে মাকে শুভেচ্ছা জানাবে। কিন্তু মায়ের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি মেলেনি। সেই দুঃখ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হল বছর তেরোর এক ছাত্র। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)।
ঠিক কী ঘটেছিল? একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে কর্ণাটক পুলিশ (Karnataka Police) জানিয়েছে, গত ১১ জুন পুরভাজ নামে ওই পড়ুয়ার মায়ের জন্মদিন ছিল। স্বভাবতই মায়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে চেয়েছিল সে। সেই জন্যই হস্টেলের ওয়ার্ডেনের কাছে অনুরোধ করেছিল, তাঁর ফোন থেকে মায়ের সঙ্গে কথা বলবে। কিন্তু সেই অনুরোধ রাখেননি ওয়ার্ডেন। মাকে ফোন করা তো দূরের কথা, পরিবারের সদস্যরাও পুরভাজের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি।
[আরও পড়ুন: হজরত মহম্মদ নিয়ে বিতর্কের জের, সকাল থেকে বারাসতে রেল অবরোধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা]
জানা গিয়েছে, কারও সঙ্গে কথা বলার অনুমতি ছিল না মৃত পুরভাজের। সেই কারণেই বারবার পরিবারের সদস্যরা ফোন করলেও তার সঙ্গে কথা বলতে দেননি ওয়ার্ডেন (Bengaluru Hostel Suicide)। গোটা ঘটনায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে সে। মায়ের জন্মদিনের রাতেই আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় পুরভাজ। সুইসাইড নোট লিখে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে।
রবিবার সকালে হস্টেলের অন্য ছাত্ররাই প্রথম পুরভাজের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। তারা হস্টেল কর্তৃপক্ষকে গোটা ঘটনা জানায়। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে বেঙ্গালুরু পৌঁছন পুরভাজের মা-বাবা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কর্ণাটক পুলিশ। তবে এখনও কাউকে অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়নি।
[আরও পড়ুন:অভিনব পদ্ধতিতে শিরদাঁড়া-হাঁটুর ব্যথা সারিয়ে প্রাক্তন সেনা আধিকারিককে সুস্থ করল SSKM]