shono
Advertisement

Breaking News

কাকার সঙ্গে মিলে বোনকে ধর্ষণ করে মুণ্ডচ্ছেদ দাদার! ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত

বিচারকের মতে, এমন অপরাধের জন্য ফাঁসির চেয়ে কম কোনও সাজা হতেই পারে না।
Posted: 04:49 PM Jan 21, 2021Updated: 05:31 PM Jan 21, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পাশবিক’ শব্দটা ব্যবহার করা হয় কোনও মানুষের চরম ঘৃণ্য কোনও আচরণকে প্রকাশ করতে। কিন্তু বারে বারেই প্রশ্ন উঠেছে, মানুষের মতো নিষ্ঠুর কি কখনও হতে পারে পশুরা! মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) এক বারো বছরের কিশোরীকে তার আপন দাদা ও কাকা মিলে ধর্ষণ (Rape) করে মাথা কেটে নিয়েছিল। এই বীভৎস অপরাধের জন্য অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজা (Death sentence) শোনাল আদালত। বিচারকের মতে, এমন অপরাধের জন্য ফাঁসির চেয়ে কম কোনও সাজা হতেই পারে না।

Advertisement

দুই অভিযুক্তকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬-এ (ধর্ষণ) ও ৩০২ (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। প্রায় দু’বছর আগের ওই অপরাধকে আদালত ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে উল্লেখ করেছে।

ঠিক কী ঘটেছিল? ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ থেকে কোনও খোঁজ মিলছিল না ওই কিশোরীর। পরে খেতের মধ্যে তার মুণ্ডহীন দেহ মেলে। প্রাথমিক ভাবেই বোঝা গিয়েছিল খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছে তাকে। পরে তদন্ত শুরু হতে ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসে শিহরণ জাগানো সত্যি। জানা যায়, নিজেই নিজের বোনকে অপহরণ করে কাকার বাড়িতে নিয়ে যায় মেয়েটির দাদা। সেখানে সে ও তার কাকা মিলে চরম নির্যাতন চালায় মেয়েটির উপরে। পরে ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে একটি কাস্তে দিয়ে মাথা কেটে ফেলা হয় তার।

[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফায় কোভিড টিকা নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, ভ্যাকসিন পেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীরাও]

সরকারি আইনজীবী তাহির খান জানিয়েছেন, ২৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন এই মামলায়। খুনের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে। তাহির খানের কথায়, ”মেয়েটি দাদার হাতে রাখি পরাত তার সুরক্ষা কামনা করে।কিন্তু সেই দাদা নিজের সমস্ত সীমা অতিক্রম করে এমন অমানবিক কাজ করেছে।” তিনি চরম শাস্তির আরজিই জানিয়েছিলেন। ডিএনএ ও ময়না তদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে শেষ পর্যন্ত দায়রা আদালতের বিচারক উমাশঙ্কর আগরওয়াল ফাঁসিরই সাজা শোনান অভিযুক্তদের।

[আরও পড়ুন: প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত, স্কুলছাত্রীদের বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন দেবে ত্রিপুরা সরকার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement