সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অর্থাভাবে ধুঁকছে কেন্দ্র সরকারের অধীনস্থ টেলি যোগাযোগ সংস্থা বিএসএনএল। পরিস্থিতি এমনই যে জুন মাসের বেতন সময়ে দেওয়ার মতো টাকাও নেই বিএসএনএলের কাছে। এমনকী, কঠিন হয়ে যাচ্ছে সংস্থার নিত্যনৈমিত্তিক কাজ চালানোও। কার্যত বাধ্য হয়েই অর্থসংকট মেটাতে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হল ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড।
[আরও পড়ুন: আগস্টেই রেলে নির্বাচন, মোদি হাওয়ায় আধিপত্য খোয়ানোর আশঙ্কায় বাম-কংগ্রেস]
মাস চারেক আগেও বেতন সমস্যায় ভুগতে হয়েছিল বিএসএনএল কর্মীদের। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কর্মীকে সময়মতো বেতন দিতে পারেনি সংস্থাটি। বিএসএনএল সূত্রের খবর জুন মাসের বেতন দেওয়ার টাকাও সংস্থার হাতে নেই। এই পরিস্থিতিতে সংস্থার শীর্ষকর্তারা কেন্দ্রের কাজে জরুরিকালীন একটি চিঠি লিখেছেন। জরুরি বার্তায় কেন্দ্রীয় টেলিকম সংস্থা জানিয়েছে, দ্রুত সরকারি সাহায্য না পেলে বিএসএনএলের পক্ষে কাজ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কর্মীদের বেতন দিতে ৮৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এছাড়াও সংস্থার মোট মাসিক ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা।
বিএসএনএলের ব্যাংকিং এবং বাজেট বিভাগের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার পুরণ চন্দ্রা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, প্রতি মাসে আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে বিশাল পার্থক্য হয়ে যাচ্ছে। আর্থিক সাহায্য এখনই না পেলে সংস্থা চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রের পরামর্শও চেয়েছে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড। গত কয়েক বছর ধরেই বিএসএনএলের ব্যবসা নিম্নমুখী। অতিরিক্ত কর্মচারী, বিপুল বেতন এবং খারাপ ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কারণে অকারণে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপকেও এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে। তাছাড়া দিনদিন গ্রাহক কমছে সরকারি টেলিকম সংস্থাটির। যা আরও সমস্যা বাড়াচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘টার্গেট মিস করিনি’, জোরাল দাবি বালাকোটে হামলাকারী বায়ুসেনার পাইলটের]
উল্লেখ্য, মোদি জমানায় একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাই লোকসানে চলছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সোমবার সংসদে এ বিষয়ে সরব হয়েছিলেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরিও। বহরমপুরের সাংসদের অভিযোগ, সরকারের উদাসীনতায় এয়ার ইন্ডিয়া, বিএসএনএলের মতো সংস্থাগুলিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। মোদি জমানার পাঁচ বছরে ১৩টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে বলে অভিযোগ তাঁর।
The post অর্থাভাবে ধুঁকছে বিএসএনএল, কর্মীদের বেতন দিতে কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের আর্তি appeared first on Sangbad Pratidin.