সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্দশা বেড়েই চলেছে পাকিস্তানের। মুদ্রাস্ফীতির যন্ত্রণা থেকে যেন নিস্তার নেই। পেট্রলের দাম বেড়ে ২৮৯.৬৯ পাকিস্তানি টাকা হয়ে যেতে চলেছে শিগগিরি। এই পরিস্থিতিতে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ চাইছেন, খরচ যতটা সম্ভব কমিয়ে ফেলা হোক। আর তারই ফলশ্রুতি, তাঁর নয়া নির্দেশ সরকারি অনুষ্ঠানে লাল কার্পেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। কেবল বিদেশি অতিথিরা এলে লাল কার্পেট ব্যবহার করা হবে। অন্যত্র এর ব্যবহার এবার থেকে বন্ধ।
জানা যাচ্ছে, মন্ত্রী থেকে সিনিয়র সরকারি আধিকারিকদের অনুষ্ঠানে অভ্যর্থনা জানাতে কেন লাল কার্পেট ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন শরিফ। এর পরই পাক ক্যাবিনেটের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবার থেকে বিদেশি অভ্যাগতদের বাদ দিলে সরকারি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিকদের জন্য লাল কার্পেটের ব্যবহার বন্ধ।
[আরও পডুন: ‘কুরুক্ষেত্র’ বারাকপুর, পার্থ-অর্জুনের ‘মহাভারতে’ শেষ হাসি কার? ফ্যাক্টর হবে বামেরা?]
এমাসেই দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। সন্ত্রাস আবহে পাকিস্তানের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দল। নানা টানাপোড়েনের পর পাক মসনদে বসেন শরিফ। নির্বাচনের আগেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নওয়াজ শরিফের ভাই। নতুন করে মসনদে বসে তিনি যে ‘মুকুটের কাঁটা’র অনুভব ভালোই করছেন তা পরিষ্কার। এই পরিস্থিতিতে তাঁর নির্দেশে লাল কার্পেটের ব্যবহার বন্ধকে প্রতীকী নির্দেশ হিসেবে দেখা যায়। আসলে যে করে হোক, খরচ কমাতে বদ্ধপরিকর পাক প্রশাসন। গত সপ্তাহেই শরিফ ও পাক ক্যাবিনেটের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা আপাতত বেতন নেবেন না। তারও আগে পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে যে করে হোক ‘সর্বস্বান্ত’ অবস্থা থেকে বেরোতে বদ্ধপরিকর পাকিস্তান।