সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে খতম হল ছত্তিশগড়ের বিজেপি বিধায়ক খুনে অভিযুক্ত এক মাওবাদী। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে দান্তেওয়াড়া জেলার কিরণদুল থানার অন্তর্গত হিরোলি এলাকার জঙ্গলে। ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই এলাকা আগাগোড়াই মাওবাদী অধ্যুষিত বলে পরিচিত।
এপ্রসঙ্গে দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার অভিষেক পল্লব বলেন, “রবিবার সকালে কিরণদুল থানার অন্তর্গত হিরোলির জঙ্গলে মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট রির্জাভ গার্ড (ডিআরজি)-র জওয়ানরা। সেসময় জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীদের সঙ্গে তাঁদের গুলির লড়াই শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যায় মাওবাদীরা। ঘটনাস্থল থেকে মাওবাদীদের মালকানগিরি এরিয়া কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য গুড্ডির মৃতদেহ উদ্ধার করেন রির্জাভ গার্ডের জওয়ানরা। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি রিভলভার ও ছ’রাউন্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত হয়েছে।”
[আরও পড়ুন- পারিবারিক হিংসার ঘটনায় বিধবাকে খোরপোশ দেবে দেওর বা ভাসুর, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
খতম হওয়া ওই মাওবাদীর নামে কমপক্ষে ৪০টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিজেপি বিধায়ক ভীমা মা্ন্ডবি ও তাঁর চারজন দেহরক্ষীকে আইইডি বিস্ফোরণের মাধ্যমে খুন করার ঘটনাটি। গত ৯ এপ্রিল দান্তেওয়াড়ার জেলার শ্যামগিরি গ্রামের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় বিজেপি বিধায়কের গাড়িতে আইইডি বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় প্রাণ হারান ওই বিধায়ক ও তাঁর চার দেহরক্ষী। এই বিস্ফোরণের পিছনে রবিবার এনকাউন্টারে খতম হওয়া গুড্ডির হাত ছিল বলেই অভিযোগ পুলিশের। সম্প্রতি কুখ্যাত এই মাওবাদীর সন্ধান দিতে পারলে একলাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে প্রশাসন।
[আরও পড়ুন- গো-পালনে বাধা, ভিসা না পেয়ে ‘পদ্মশ্রী’ ফেরাচ্ছেন বিদেশিনী]
দান্তেওয়াড়া জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে রবিবারের ওই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন ‘দান্তেশ্বরী লড়াকে‘-র সদস্যরাও। গত ৭ মে দান্তেওয়াড়ার ডিএসপি দীনেশ্বরী নন্দের নেতৃত্বে বিশেষ এই প্রমিলা ব্রিগেড তৈরি করা হয়। এই দলে এমন ১০ জন সহকারী কনস্টেবল রয়েছেন যারা একসময়ে মাওবাদী বিরোধী সংগঠন সালাও জুডুমের সঙ্গেও জড়িয়ে ছিল। জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য এদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।