সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও অবনতির পথে ভারত–চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। লাদাখ (Ladakh) ইস্যুতে একাধিক আলোচনা চলছে। দু’দেশই শর্তসাপেক্ষে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে একমত হয়েছে। এর মধ্যেই ফের একবার চিনের (China) উপর ডিজিটাল স্ট্রাইক করেছে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার। সম্প্রতি নতুন করে আরও ৪৩টি চিনা অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর বিষয়টিই ভালভাবে নেয়নি পড়শি চিন। ইতিমধ্যে সেদেশের সংবাদমাধ্যমে কড়া বিবৃতিও দিয়েছেন চিনের মুখপাত্র জি রং। পরিষ্কার জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে ভারতের বারংবার একই পদক্ষেপ মোটেই ভালভাবে নেয়নি বেজিং (Beijing)।
এক সাক্ষাৎকারে চিনের মুখপাত্র বলেন, ‘‘বারংবার জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত যেভাবে চিনা অ্যাপগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে, তার তীব্র বিরোধিতা করছে বেজিং। আশা করি, ভারত নিজের ভুল শুধরে নেবে এবং সেদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে সবাইকে সমান সুযোগ দেবে।’’ এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, বেজিং কোনওসময় চায় না, চিনের কোনও সংস্থাই ব্যবসার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন ভাঙুক। এব্যাপারে সবসময় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে চিন। এরপরই তিনি বলেন, ‘‘আলোচনার মাধ্যমেই নিজেদের বানিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ককে সঠিক পথে চালিত করতে পারে দুই দেশ। এতে ভারত–চিন দু’দেশই লাভবান হবে।’’
[আরও পড়ুন: আত্মনির্ভরতার পথে আরও একধাপ, টুইটারকে টেক্কা দিতে হাজির ‘স্বদেশি’ Tooter]
এদিকে, মঙ্গলবারই ৪৩টি চিনা অ্যাপকে (Chinese mobile apps) নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। অভিযোগ, এই অ্যাপগুলি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য ক্ষতিকর। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারা মেনে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৯ জুন ও ২ সেপ্টেম্বরও বেশ কিছু অ্যাপকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেগুলিরও সিংহভাগই চিনা অ্যাপ।
মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য ক্ষতিকর এমন কার্যকলাপে যুক্ত থাকার বিষয়ে খবর মেলার পর দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা, নিরাপত্তার জন্য এই অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল। এদিন যে ৪৩টি অ্যাপ নিষিদ্ধ হল তার মধ্যে রয়েছে আলি এক্সপ্রেস, স্ন্যাক ভিডিও, ক্যাশিয়ার ওয়ালেট, উই ডেট, ম্যাঙ্গো টিভি, হ্যাপি ফিশ ইত্যাদি। গত ২৯ জুন ১১৮টি অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়েছিল। আর ২ সেপ্টেম্বর নিষিদ্ধ হয় আরও ৫৯টি অ্যাপ। সেই অ্যাপগুলির বিরুদ্ধেও ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা ও নাগরিকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে ওঠার অভিযোগ ছিল।