সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) তাইওয়ান সফরের পরেই সামরিক মহড়া শুরু করেছে চিন। সেদেশের আগ্রাসী নীতির তীব্র সমালোচনা করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। মহড়া থামাতে বেজিংকে (China) অনুরোধ জানিয়েছে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান (Japan)। তাদের কথা উড়িয়ে দিয়ে রবিবার নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করল চিন। তাইওয়ানকে ঘিরে যেসমস্ত যুদ্ধবিমান মহড়া চালাচ্ছে, সেই বিমানগুলির একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে চিনের জাতীয় মিডিয়া।
ভিডিওটি টুইট করে চিনের জাতীয় মিডিয়া গ্লোবাল টাইমসের তরফে লেখা হয়েছে, “তাইওয়ান ঘিরে যে মহড়া চালানো হচ্ছে, তার কিছু ঝলক। একশোরও বেশি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হচ্ছে এই মহড়ায়। তাছাড়াও চিনের নতুন যুদ্ধবিমান ওয়াইইউ২০ও কাজে লাগানো হচ্ছে।” শুধু বিমানেই শেষ নয়, ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনা। মিসাইল ছোঁড়ার দৃশ্যগুলিও তুলে ধরা হয়েছে ভিডিওতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভিডিও প্রকাশ করে তাইওয়ানকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে চিন।
[আরও পড়ুন: ছিলেন নেতাজির একান্ত অনুগামী, প্রয়াত আজাদ হিন্দ ফৌজের মেজর ঈশ্বরলাল সিং]
ন্যান্সি পেলোসির সফরের জন্য তাইওয়ানকে (Taiwan) শাস্তি পেতে হবে বলে দাবি করা হয়েছিল চিনের তরফে। সেই কথা মতোই পেলোসি চলে যাওয়ার পরেই তাইওয়ানকে ঘিরে মোট ছ’টি জায়গায় মহড়া শুরু করে দেয় পিপলস লিবারেশন আর্মি। বেশ কয়েকটি জায়গায় আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করে তাইওয়ানের অংশেও ঢুকে পড়েছে চিনা যুদ্ধ জাহাজ। জাপানের সমুদ্রেও আছড়ে পড়েছিল চিনা মিসাইল।
তাইওয়ান প্রণালী বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত জলপথ। সেই এলাকা দিয়ে জাহাজ চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে চিন। বেজিংয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, পেলোসির সফরের ফলে চিনের সার্বভৌমত্বে আঘাত লেগেছে। তাইওয়ান চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এমনটাই মনে করেন সেদেশের নেতৃত্ব। প্রয়োজনে সামরিক আক্রমণ করে ওই ভূখণ্ডের দখল নেওয়া হবে, এমনটাও বলেছে চিনা রাষ্ট্রপ্রধানরা।