সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতের সেনা জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার পর থেকে খুলে গিয়েছে চিনের মুখোশ। নয়াদিল্লি তাদের চাপের কাছে মাথা নত করবে না বুঝতে পেরে ভারতবিরোধী শক্তিগুলিকে মদত দিচ্ছে। এবার জানা গেল উত্তরাখণ্ড সীমান্তের কাছে নেপাল (Nepal) -এর জায়গা দখল করে ঘাঁটি বানাচ্ছে চিন। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই প্রবল চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে নেপালের সাধারণ মানুষের মধ্যে। বাড়ছে ওলি প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ। এদিকে পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে নয়াদিল্লিও।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরাখণ্ডের পিথোরগড় (Pithoragarh) থেকে ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে ভারত সীমান্তের খুব কাছে নেপালের হুমলা জেলার লিমি (Limi) এলাকায় বেশ কিছুটা জায়গা দখল করেছে চিন (China)। কিছুদিন ধরেই এই অভিযোগ করছিলেন লিমি এলাকার মানুষ। এই খবর পেয়ে গত ৫ তারিখ নেপালের কিছু রাজনৈতিক নেতা ও আধিকারিক ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন ওলি প্রশাসনের থেকে কোনও অনুমতি না নিয়েই ১১ ও ১২ নম্বর সীমান্ত পিলার সরিয়ে সেখানে বিল্ডিং তৈরি করেছে লালফৌজ। ইতিমধ্যে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দপ্তরে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: দেশকে সংক্রমণমুক্ত ঘোষণা করার পর নিজেই করোনা আক্রান্ত সেই মন্ত্রী ]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত আগস্টে নেপালের হুমলা (Humla) জেলার বিস্তীণ এলাকার জমি চিন দখল করছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেদেশের সংবাদমাধ্যমে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ড্রাগনের কুকীর্তির প্রমাণ পেলেও সরকারিভাবে চিনের জমি দখলের কথা অস্বীকার করে কাঠমাণ্ডু। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নেপালের বিভিন্ন জায়গা চিন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর কাঠমাণ্ডুতে অবস্থিত চিনের দূতাবাসের সামনে নেপালের বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষও।