shono
Advertisement
Lawho Gouranger Naam Re

বক্স অফিসের নিরিখে যেমন ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো বছর, আবার প্রচুর ভুল বোঝাবুঝিও হয়েছে: সৃজিত

ইশাকে কাস্ট করতে এত দেরি করলেন কেন? জানালেন সৃজিত।
Published By: Sandipta BhanjaPosted: 05:25 PM Dec 12, 2025Updated: 06:22 PM Dec 12, 2025

'লহ গৌরাঙ্গের নাম রে' মুক্তির প্রাক্কালে আড্ডায় ইশা সাহা, সৃজিত মুখোপাধ্যায়। মুখোমুখি বিদিশা চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement


সৃজিত আপনাকে দিয়ে শুরু করছি। ‘সত্যি বলে সত্যি...’ দিয়ে বছর শুরু করেছিলেন। ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ মুক্তি পাচ্ছে বছরের শেষে। উইনিং স্ট্রাইক কি তা হলে সৃজিতের হাতে?
সৃজিত : (হা হা হা) ওই রকম ব্যাপার না। আমার মনে হয় এই বছরটাই বাংলা ছবির জন্য ভালো গিয়েছে। জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। অনেক ছবি রিলিজ করেছে, হিট করেছে, সুপার হিট হয়েছে। ‘অঙ্ক কী কঠিন’ এবং ‘দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’ স্লিপার হিট হয়েছে। বক্স অফিসের নিরিখে ওয়ান অফ দ্য বেস্ট ইয়ার।

ইশা, এটাই আপনার সৃজিতের সঙ্গে প্রথম ছবি। অনসম্বল কাস্ট, শুভশ্রীর মতো স্টার রয়েছেন। কেন হ্যাঁ বললেন?
ইশা : কেন না বলব, বলো তো? সৃজিত মুখার্জি বলছে যে, অন স্ক্রিনে গিয়ে তুই আমার চরিত্রে অভিনয় কর– কোন বুদ্ধিমান অভিনেতা এটা না বলবে! অনসম্বল কাস্ট আছে কি না, কে আছে, না আছে এসব তো পরে ভেবেছি। এমন একটা বিষয়, চৈতন্যদেবকে নিয়ে ছবি তা ছাড়া এর পর আবার সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে ছবি হবে কি হবে না, সেটা জানি না– না করার প্রশ্নই নেই।

একটা ব্যাপার বেশ ইন্টারেস্টিং। সৃজিতের সঙ্গে প্রথম ছবিতে ইশা ফিল্মমেকার, এবং ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তও আপনার সঙ্গে তাঁর প্রথম ছবিতে ফিল্মমেকারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন!
সৃজিত : ইন্দ্রনীল তো ‘অটোগ্রাফ’-এ আমার চরিত্রেই অভিনয় করেছিল। অবশ্য সেটা ইন্টারভ‌্যালের আগে পর্যন্ত।

সৃজিত মুখোপাধ্যায় (ছবি- কৌশিক দত্ত)

আর এই ছবিতে ইশা এক্ষুনি বললেন, আপনার চরিত্রে অভিনয় করছেন। এটা কী কাকতালীয়?
ইশা : দেখেছ অবস্থা! আচ্ছা আমার একটা প্রশ্ন আছে, ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’-তে আমার চরিত্রটা মানে রাইয়ের সঙ্গে ইন্টারভ‌্যালের পর যেটা ঘটে, সেটাও সৃজিত মুখার্জি! মানে সেটা কি তুমি হতে পারো?
সৃজিত : হুমম... এই ছবিতে রাইয়ের সঙ্গে যেটা হয়, সেটা বোধহয় আমার হবে না। এখানে ‘রাই’ ডাইভালজ
করে যায়!
ব্যাপারটা কি সম্পর্ক বা প্রেমঘটিত! হতেই হবে! ছেড়ে চলে যাচ্ছে নাকি!
সৃজিত: আরে বাকিটা রুপোলি পর্দায় দেখবে! সব বলে দিলে কী করে চলবে!

পর্দার বাইরে অ্যাক্টর-ডিরেক্টর কেমিস্ট্রি অর্থাৎ ইশা-সৃজিত, এবং সিনেমায় পরিচালক ইশা এবং সুপারস্টার ইন্দ্রনীলের কেমিস্ট্রি কেমন?
সৃজিত : প্রথমদিকে আমার আর ইশার টিউনের গন্ডগোল হচ্ছিল। কেউ ভালো শট দিলে আমি কিছু বলি না, মোটামুটি হলে বলি, আর খারাপ করলে আবার করতে বলি। ও একের পর এক ভালো শট দিয়ে যাচ্ছে, আমি পরবর্তী শটে চলে যাচ্ছি। ইশা ভাবছে তা হলে কি একেবারেই হচ্ছে না! সেটা জানার পর আমরা একটা মধ্যস্থতায় এলাম, ওকে বোঝাই আমার কাজের ধরনটা।
ইশা : আমার আর ইন্দ্রনীলের যদি কেমিস্ট্রি বলা হয়, সেটা অন সেটই বেশি ছিল। সিনেমা নিয়ে তো বেশি বলা যাবে না। খুব বেশি কেমিস্ট্রি নিয়ে আমাদের ওপর ফোকাস করা হয়েছে এমনটা নয়।
সৃজিত : আসলে ওদের মধ্যে কেমিস্ট্রি নয় যেটা দেখানো হয়েছে সেটা হল পাওয়ার ইকুয়েশন। ছবিতে পরিচালক ‘রাই’ এবং সুপারস্টার অভিনেতা ‘পার্থ’-র মধ্যে একটা পাওয়ার ইকুয়েশন কাজ করে। ইন্দ্রনীল যেহেতু প্রবাসী বাঙালি, তাই ইশার তুলনায় ওর বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে যোগ একটু কম। এবং ইশার চৈতন্যদেবকে বোঝা বা জানা সেটা পর্দাতেও বেরিয়ে এসেছে চরিত্রের মধ্যে দিয়ে।
ইশা : হ্যাঁ, মানে পরিচালকের চরিত্রে আমি আমার অভিনেতাকে বোঝাচ্ছি, যে একটু কম জানে।

রাই কি ইন্টেলেকচুয়াল ছবি বানায়, না কি মেনস্ট্রিম ছবির পরিচালক!
ইশা : আমি তো সৃজিত মুখোপাধ্যায় এখানে!
সৃজিত : আর সেই জন্য ও বেস্ট অফ বোথ ওয়ার্ল্ড এখানে (হাসি)!

ইশাকে নিজের ছবিতে কাস্ট করতে এত দেরি করলেন কেন?
ইশা : গুড কোয়েশ্চেন! উত্তর দাও!
সৃজিত : গুড স্ক্রিপ্ট! আসলে আমার মনে হয় সব কিছুরই একটা সঠিক সময় আসে। এর আগে স্ক্রিপ্ট লিখে, চোখ বন্ধ করে যে ইশাকে দেখতে পেয়েছি, এমনটা হয়নি। আর এ ক্ষেত্রে সেটা হয়েছে তার বড় কারণ হল ইশা যে ধরনের রোল সিলেক্ট করে। যে ধরনের চরিত্রে ওর অভিনয় দেখেছি, তাতে আমার মনে হয়েছে ইশা ইজ এ থিংকিং অ্যাক্টর নট এ গ্ল্যাম ডল। কেবলমাত্র গ্ল্যামারাস প্রপ নয়। ইশার চরিত্রায়ণে আমি বুদ্ধির ছাপ পেয়েছি। ‘রাই’-এর চরিত্রে কাস্ট করার জন্য আমার এই হিন্টটার দরকার ছিল।

কাজ করার পর কী মনে হয়, আবারও করবেন?
সৃজিত : হ্যাঁ, ইশার সঙ্গে আমি আবার কাজ করতে চাই। আর এই ছবিতে নতুন ইশাকে দেখবে দর্শক। রাইয়ের মতো চরিত্র ইশা করেনি। রাইয়ের জটিলতা, পাওয়ার ইকুয়েশন, যেভাবে ‘পার্থ’কে কন্ট্রোল করে, যেভাবে পার্থর কাছে নিজেকে সঁপে দেয়, পরিচালকের সিটে থাকলে পার্থর সঙ্গে একরকম, প্যাক আপের পর আরেকরকম– এই যে রেঞ্জ এটা দর্শক আগে দেখেনি।

‘ইশা’ বা রাইকে যদি বলা হয় সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের কোনও ছবির সিক্যুয়েল করতে কোনটা করবেন? অটোগ্রাফ
থেকে শুরু।
ইশা : ‘লহ গৌরাঙ্গ...’ তো বলা যাবে না? আমার তোমার ছবির মধ্যে ‘এক্স = প্রেম’ খুব ভালো লাগে। আমি জানি না ওটার সিক্যুয়েল হতে পারে কি না!
সৃজিত : ডেফিনিটলি হতে পারে। কাস্টিং কী হবে? দিস ফিল্ম ইজ ক্লোজেস্ট টু মাই হার্ট। এটার সিক্যুয়েল করতে পারলে আমিই খুব খুশি হব।

একটু আগেই বলছিলেন এই বছরটা বক্স অফিসের দিক থেকে ভালো! কিন্তু ফেডারেশনের সঙ্গে শিল্পীদের সংঘাতে নানা ওঠাপড়া দেখেছি। পরিচালকদের সঙ্গেও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল। আপনার প্রিয় অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য এখনও নতুন কাজে হাত দিতে পারেননি। আপনি নিজে কখনও সংঘাতের মুখোমুখি হয়েছেন আবার সরে এসেছেন। এই আলোয় কীভাবে দেখবেন ২০২৫?
সৃজিত : আমি স্ট্যাটিসটিক্স দিয়ে বিচার করি। বক্স অফিসের নিরিখে ভালো বছর। আবার অন্যদিকে প্রচুর ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, প্রচুর বিটারনেস তৈরি হয়েছে যার জন্য এগুলো তার বাই প্রোডাক্ট। তো সেদিক থেকে বছরটা ভালো কাটেনি। যদি বন্ধুত্ব, ‘কামারাডারি’র বা পরস্পরকে বোঝার দিক থেকে দেখতে হয়, তাহলে বছরটা ততটাও ভালো নয়। এমনকী, পুজো রিলিজের সময় সেই ল্যাক অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং বা ল্যাক অফ ‘কামারাডারি’ আমরা দেখেছি। যে প্রতিযোগিতার আমিও একটা অংশ। কিন্তু স্লেজিংটা কখনওই ওই মাত্রায় যায় না, যেটা এবার পুজোয় গিয়েছিল।

বড়দিনের রিলিজে তেমন স্লেজিংয়ের সম্ভাবনা আছে?
সৃজিত : বড়দিনে এটার কোনও চান্সই নেই। তার অনেকগুলো কারণ। এই যে দেবের সঙ্গে কথা বলে আমি পুজোয় এলাম না, এবং বড়দিনে আসছি সেটা ইজ এ পার্ট অফ বিগার আন্ডারস্ট্যান্ডিং। ‘রঘু ডাকাত’-এর সঙ্গে আসব না, দ্যাট ওয়াজ মাই কনট্রিবিউশন। ফলে বোঝাপড়াটা যখন আছে তখন ওই স্লেজিংয়ের চান্স নেই। তিনটে তিন রকমের ছবি। আশা করি তিনটে ছবিই মানুষ দেখবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • আমি স্ট্যাটিসটিক্স দিয়ে বিচার করি। বক্স অফিসের নিরিখে ভালো বছর
  • 'আমার তোমার ছবির মধ্যে ‘এক্স = প্রেম’ খুব ভালো লাগে', সৃজিতকে জানালেন ইশা।
Advertisement