সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছবির প্রেক্ষাপত সুন্দরবন। যে সুন্দরবনের গহিনে লুকিয়ে রয়েছে দক্ষিণরায়ের পাশাপাশি আরও অনেক রহস্যও। সেই সুন্দরবনেই বেড়ে ওঠা বছর তেইশের একটি ছেলে পলাশকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে 'অদম্য' ছবির গল্প।
পলাশ একজন শিকারি। কিন্তু সময়ের ফেরে সে নিজেই হয়ে ওঠে অন্য কারও শিকার। এমনিতেই সুন্দরবনের মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার 'অদম্য' লড়াই বাকি সবার থেকে আলাদা। তাঁরা প্রকৃতির প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করতে করতেই জীবনটা কাটিয়ে দেয়। সেরকমই এক লড়াই দেখা যাবে পলাশের জীবনেও। আর সেই লড়াই-আন্দোলনের জেরেই রাষ্ট্রযন্ত্রের চক্ষুশূল হয়ে ওঠে সে। তবে আরও বিস্তারিত জানা যাবে ছবিটি দেখার পর। এই ছবিতে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী-পরিচালক অপর্ণা সেন যুক্ত রয়েছেন। যা এই ছবির একটি বড় প্রাপ্তি।
এই ছবির নিবেদক তিনিই। এই প্রথম কোনও ছবির নিবেদকের ভূমিকায় অপর্ণা সেন। এপ্রসঙ্গে পরিচালক রঞ্জন ঘোষ এই ছবি নিয়ে বলেন, "এই প্রথম অপর্ণা সেন কোনও ছবি নিবেদন করছেন। অদম্য দেখবার পর তিনি রীতিমতো বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করি ছবিটা তিনি প্রেজেন্ট করবেন কিনা, তিনি সাগ্রহে রাজি হন। ছবির উপস্থাপনা তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছিলো। যখন আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব আমাদের ক্রমাগত ঠকিয়ে চলে, যখন কষ্টার্জিত গণতন্ত্রগুলোকে কৌশলে বদলে ফেলা হয় নির্বাচিত স্বৈরতন্ত্রে, যখন গরিব আরও গরিব হয়, ধনীরা আরও ধনী। যখন আদিবাসীদের বিস্তীর্ণ জমি আর ঘন জঙ্গল মন্ত্রীদের ঘনিষ্ট পুঁজিবাদী বন্ধুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নির্লজ্জভাবে, যখন ন্যায়ের খোঁজে সাধারণ মানুষের পক্ষে আইনি পথের আর সামর্থ্য থাকে না।
পরিচালক ছবি নিয়ে আরও বলেন, "একদল তরুণ, যারা দারিদ্র, জাতপাত, সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি, ধর্মান্ধতা এবং শোষণের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি খুঁজতে চায়। তারা নিজেরাই নিজেদের হাতে সমাজের পচন পরিষ্কার করতে নেমে পড়ে। রাষ্ট্র তাদের জন্য তকমা প্রস্তুতই রেখেছে - ‘ওরা চরমপন্থী!’ কিন্তু ওরা চরমপন্থী নাকি বিপ্লবী, ওরা দেশদ্রোহী নাকি দেশপ্রেমিক — সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায় একমাত্র আমাদের, জনগণের।"
