বিশেষ সংবাদদাতা: বিরোধ আগেই মিটেছিল। চলতি বছর 'কিফ'-এ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, 'ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া'র সঙ্গে আর কোনওরকম আইনি জটিলতায় যেতে চান না তিনি। এবার নিজে ভিডিও পোস্ট করে সেই বক্তব্যে সিলমোহর বসালেন নিজেই। ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এক ভিডিও বার্তায় পরমব্রত জানান, ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটা 'হঠকারী সিদ্ধান্ত' ছিল।
সেই ভিডিওয় পরমব্রত ফেডারেশন সম্পর্কে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে জানান, "অনেকেই হয়তো জানেন যে, গত একবছর ধরে আমার এবং আমার কিছু সহকর্মীদের সঙ্গে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সঙ্গে কিছু বাদানুবাদ, মতবিরোধ, মনোমালিন্য, ভুল বোঝাবুঝি চলছিল। আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে আমরা সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি, মতবিরোধ ভুলে একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারব।" পরমব্রতর সংযোজন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে কোনও আইনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে আর যুক্ত রাখছেন না। ভবিষ্যতেও রাখবেন না। বাকিদের কথা বলতে পারবেন না। প্রত্যেকে নিজের সিদ্ধান্ত নেবেন। ভিডিও বার্তায় ফেডারেশনকে 'সুবৃহৎ পরিবার' বলে সম্বোধন করে তিনি জানান, "এই ইন্ডাস্ট্রিতে গত ২৫ বছর ধরে কাজ করার সুবাদে জানি, এই ফেডারেশন একটি সুবৃহৎ পরিবার। পরিবারের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি যদি হয় আলাপ-আলোচনাতেই মেটানো শ্রেয়। আমার বলতে দ্বিধা নেই যে, এই গোটা ব্যাপারটাকে আদালত বা আইনি প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি কিছুটা হঠকারী ছিল। এর পিছনে কিছু ভুল তথ্য, মিস কমিউনিকেশন, কনফিউশন, ভুল বিশ্লেষণ ইত্যাদি কাজ করেছিল।সঠিক ছিল না। ফেডারেশনের গুরুত্ব নিয়ে আমি সবসময় সচেতন ছিলাম। সুনিশ্চিতও ছিলাম।"
প্রসঙ্গত, একসময় ফেডারেশনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগে ১৩ জন বিদ্রোহী পরিচালক মামলা দায়ের করেছিলেন। সেখানে পরমব্রতও ছিলেন। তবে এবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন। পরমব্রত নিজের বার্তায় ফেডারেশনের আওতায় যে বিভিন্ন গিল্ড তথা গভর্নিং বডিগুলো সুসংগঠিতভাবে কাজ করছে তাও জানান। সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে সমগ্র ফেডারেশন কতটা ভালোভাবে কাজ করছে তার প্রশংসাও করেন। তিনি উল্লেখ করেন, তিনি নিজেও ফেডারেশনের অংশ। সেই অংশ হিসাবে সকলের সঙ্গে কথা বলে ঐকমত্য তৈরি করে আগামীতে একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন বলেই তাঁর বিশ্বাস। উল্লেখ্য, এবারে সমগ্র চলচ্চিত্র উৎসবে পরমব্রতকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে। যেখানে ঋত্বিক ঘটক শতবর্ষ পালিত হয়েছে। একসময়ে স্টুডিও চত্বরের বিভিন্ন দাবি নিয়ে তিনিও মুখর হয়েছিলেন। কাকতালীয় হলেও পরমব্রতর বার্তার শেষ ভাগে শোনা যায়, "শ্রমিক ঐক্য দীর্ঘজীবী হোক এবং ফেডারেশন দীর্ঘজীবী হোক, এমন কথা।"
