সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি। কখনও ফোনে, কখনও চিঠিতে, কখনও আবার সরাসরি শুটিং ফ্লোরে ঢুকে। লরেন্স বিষ্ণোই দলের নিশানায় সলমন। সলমনের চারপাশে এখন চব্বিশ ঘণ্টাই কড়া নিরাপত্তা। বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর তো সলমনকে নিয়ে আরও বেশি দুশ্চিন্তা। এসবের মাঝেই হঠাৎ করে বাবা সিদ্দিকির ছেলের সঙ্গে মুম্বই ছাড়লেন ভাইজান। শুক্রবার মুম্বই বিমানবন্দরে দেখা গেল সলমনকে। সঙ্গে বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকি। ছিলেন সলমনের দেহরক্ষী শেরাও। তা কোথায় গেলেন সলমন? বিমানবন্দরে পাপারাজ্জিরা সলমনের ছবি তুললেও, তিনি কোথায় যাচ্ছেন, তা ফাঁস করেননি।
হঠাৎ শহর ছাড়ার কারণে এই সপ্তাহান্তে 'বিগ বস' -এর ‘উইকেন্ড কা ওয়ার’-এও থাকবেন না সলমন। তাঁর পরিবর্তে সঞ্চালনা করবেন ফারহা খান।
প্রসঙ্গত, প্রথমে বন্ধু বাবা সিদ্দিকির হত্যা। তার পর একের পর এক খুনের হুমকি। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোইর নেতৃত্বাধীন বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সলমন খান। আতঙ্ক বাড়ে বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে। দশেরার দিন বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করা হয়। পূর্ব বান্দ্রায় বাজি ফাটাচ্ছিলেন এনসিপি (অজিত) নেতা। সেই সময়ই তার উপরে দুষ্কৃতীদের হামলা হয়। আচমকাই সেখানে হাজির হয় তিন দুষ্কৃতী। তারা লাগাতার গুলি চালাতে থাকে। গুলি ফুঁড়ে দেয় সিদ্দিকির শরীর। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সিদ্দিকির। ঘটনায় একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বন্ধুর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে হাসপাতালেও ছুটে গিয়েছিলেন সলমন। শোনা গিয়েছে, অত্যন্ত ভেঙে পড়েছেন তিনি। কিন্তু হুমকির শেষ নেই। এর আগে হুমকি বার্তা পাঁচ কোটি টাকার দাবি করা হয়েছিল। সেই ঘটনার অভিযুক্ত হিসেবে জামশেদপুরের এক সবজি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যেই আবার কিছুদিন আগে আবার সলমন খান ও বাবা সিদ্দিকির ছেলে তথা মুম্বইয়ের বান্দ্রা-পূর্ব আসনের বিধায়ক জিশান সিদ্দিকিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নয়ডা থেকে ২০ বছরের এক যুবককে পাকড়াও করা হয়েছে। কিন্তু তার পরও হুমকির পালা অব্যাহত।
