অস্ট্রেলিয়া: ১৬৪/৫ (স্টয়নিস ৬৭, ওয়ার্নার ৫৬, মেহরান খান ৩৮/২)
ওমান: ১২৫/৯ (আয়ান ৩৬, মেহরান ২৭, স্টয়নিস ১৯/৩)
৩৯ রানে জয়ী অস্ট্রেলিয়া।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপ অভিযানের আগে হাজারও সমস্যায় পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া (Australia Cricket)। ব্যাগ হারিয়ে দেরিতে দলের সঙ্গে যোগ দেন প্যাট কামিন্স। বিমান বিভ্রাটে পড়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল আর মিচেল স্টার্ক। কিন্তু বার্বাডোজে মাঠে জয় দিয়ে শুরু হল বিশ্বকাপে (ICC T20 World Cup 2024) অজি বাহিনীর উড়ান। স্টয়নিস-ওয়ার্নারের দাপটে উড়ে গেল ওমান।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ওমানের (Oman Cricket) অধিনায়ক আকিব ইলিয়াস। শুরুটা একেবারে খারাপ করেননি বিলাল খানরা। তৃতীয় ওভারেই তিনি ফিরিয়ে দেন আইপিএলে দুরন্ত ফর্মে থাকা ট্রেভিস হেড (১২)। নবম ওভারে পর পর ফিরে যান অধিনায়ক মিচেল মার্শ (১৪) আর ম্যাক্সওয়েল (০)। সেই সময়ে হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায় ছিলেন ওমানের মেহরান খান (৩৮/২)। কিন্তু তার পরই খেলা ঘুরিয়ে দেয় ওয়ার্নার-স্টয়নিস জুটি। ৫৬ রানে ওয়ার্নার আউট হন। অন্যদিকে মাত্র ৩৬ বলে ৬৭ রান করেন স্টয়নিস। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া থামে ১৬৪ রানে।
[আরও পড়ুন: ‘তুমি ফুটবলের কিংবদন্তি…’, বিদায়ী ম্যাচের আগে ছেত্রীকে শুভেচ্ছা লুকা মদ্রিচের]
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই রান ধাওয়া করা কঠিন কাজ নয়। কিন্তু সামনে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্ত প্রতিপক্ষ থাকলে কাজটা সবসময়ই কঠিন। সীমিত সামর্থ্য সত্ত্বেও ওমানের দল শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের চেষ্টা করে। কিন্তু প্রায় প্রতি ওভারেই তাদের দুর্বলতা বোঝা গেল। স্টার্ক-এলিসরা ধারাবাহিক ব্যবধানে উইকেট তুলতে থাকেন। এদিন প্যাট কামিন্সকে খেলায়নি অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তাঁর অভাব বিন্দুমাত্র বোঝা গেল না। বরং ব্যাটের পর বল হাতেও সফল মার্কাস স্টোয়নিস। ওমানের আয়ান খান কিছুটা চেষ্টা করেন। পরের দিকে চেষ্টা চালান মেহরান খান। কিন্তু লক্ষ্যের ধারেকাছে পৌঁছতে পারেননি আকিব ইলিয়াসরা। তাদের ইনিংস থামে ১২৫ রানে।
তবে অস্ট্রেলিয়াকে চিন্তায় রাখবে মিচেল স্টার্কের চোট। পরের ম্যাচ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে আইপিএল ফাইনালের সেরা বোলারকে ছাড়া বিপদে পড়তে পারে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেল ওমান। তারা পাপুয়া নিউ গিনিকে ৩ উইকেটে হারায়।
