সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক সময়ে খেলেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল, মুশির খানের সঙ্গে। কিন্তু লিঙ্গ পরিবর্তন করার পর ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যায় অনয়া বাঙ্গারের। বাস্তবতার সঙ্গে জীবনের কঠিন লড়াই লড়তে হয়েছিল তাঁকে। প্রতি পদে সইতে হয়েছিল অপমান। যদিও দীর্ঘ ১০ মাসের প্রক্রিয়া শেষে আরিয়ান থেকে অনয়া হয়েছেন তিনি। গত বছর নিজেই জানিয়েছিলেন লিঙ্গ পরিবর্তনের কথা। তবে এই যাত্রায় রীতিমতো ‘মূল্য’ চোকাতে হয়েছিল প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় বাঙ্গারের সন্তানকে। সেই তিনি এবার খেলতে চান মহিলাদের ক্রিকেটে। আর সে ব্যাপারে আবেদন করলেন আইসিসি এবং বিসিসিআইয়ের কাছে।
ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারদের মহিলা ক্রিকেটে অংশগ্রহণের অনুমতি নেই। ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের পর আইসিসি'র তরফে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়। অনয়া নিজে একজন ট্রান্সজেন্ডার ক্রীড়াবিদ। জানা গিয়েছে, তিনি আইসিসি এবং বিসিসিআইয়ের কাছে আট পৃষ্ঠার বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
সামাজিক মাধ্যমে তিনি একটা ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি বলেন, "প্রথমবার সকলের সামনে আমি একজন রূপান্তরিত মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমার যাত্রাপথের বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করছি। গত এক বছর ধরে হরমোন থেরাপি শুরু করার পর স্বাভাবিকভাবেই শারীরিক বদল ঘটেছে আমার। এই রিপোর্টে আমার রূপান্তরের বাস্তব প্রভাব দেখানো হয়েছে। এখানে কারওর মতামত বা অনুমান নয়, রয়েছে কিছু তথ্য।" অনয়ার সংযোজন, "সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা এবং আশা নিয়ে আমি বিসিসিআই এবং আইসিসি'র কাছে এই রিপোর্ট জমা দেব। আমার আসল লক্ষ্য হল, উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে কথা শুরু করা। আপনি একমত হন বা না হন, সাক্ষী থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।"
কর্মসূত্রে ইংল্যান্ডে থাকেন অনয়া। বাবার মতোই অনয়াও ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন। স্থানীয় ক্লাব ক্রিকেটে ইসলাম জিমখানায় খেলেছেন। পাশাপাশি বাঁ-হাতি এই ব্যাটার লেস্টারশায়ারের হিঙ্কলি ক্রিকেট ক্লাবের হয়েও খেলেছেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে আইসিসি জানায়, ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলিটদের মহিলা ক্রিকেটে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে না। তাই আপাতত মহিলা দলে তিনি খেলতে পারবেন না। এর জন্য তিনি হতাশাও গোপন করেননি। প্রসঙ্গত, তিনি ২০২১ সালে লিঙ্গ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো ‘হরমোনাল রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি’ও হয় তাঁর।
