স্টাফ রিপোর্টার: চ্যাম্পিয়ন ট্রফির আগেই পরপর ধাক্কা খেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স-সহ তারকা পেসত্রয়ীর অন্য দুই সদস্য জশ হ্যাজেলউড ও মিচেল স্টার্ক চোটের জন্য বাইরে। দুই তারকা অলরাউন্ডারের মধ্যে মিচেল মার্শের চোট, মার্কাস স্টয়নিস একদিনের ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করেন হঠাৎ করেই। বলা চলে প্রথম একাদশের অর্ধেকটাই এবার চাম্পিয়ান্স ট্রফিতে পাচ্ছে না বিশ্বজয়ীরা। তারই মধ্যে আবার সেমিফাইনালের আগে চোটের কারণে ছিটকে গেলেন তারকা ব্যাটার ম্যাথিউ শর্ট।
এত সব সত্ত্বেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে স্বমেজাজেই পাওয়া যাচ্ছে ট্রাভিস হেড, স্টিভ স্মিথদের। যে দাপট নিয়ে বিভিন্ন আইসিসি ট্রফিতে বাগি গ্রিনরা খেলে এসেছে এত বছর, পাকিস্তানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর উত্তরসূরিদের এমন দাপট দেখে একেবারেই অবাক নন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। তিনি বললেন, 'অস্ট্রেলিয়া এভাবেই খেলে। ফলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমাদের ব্যাটিংটা দেখুন। সকলেই অভিজ্ঞ। স্টার্ক, কামিন্স আর হ্যাজেলউড না থাকায় আমাদের বোলিং বিভাগ যে একটু অনভিজ্ঞ, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবু ফাইনাল খেলার রসদ এই দলের আছে।'
শুক্রবার আফগানিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পাকা করেছে অজি বাহিনী। ক্লার্ক বলে দিয়েছেন, ফাইনালে দেখতে পাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়াকে। যদিও তাঁর দেশের হাতেই যে ট্রফি উঠবে, সেই আত্মবিশ্বাস দেখাতে পারছেন না। 'আমি মনে করি অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল খেলবে, সেটাও ভারতের বিরুদ্ধে। অবশ্যই চাইব অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন যোক। কিন্তু মনে হয় ভারতই এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতবে। আমার মতে ভারতই এখন বিশ্বের সেরা, এক নম্বর দল।' বলে দেন ক্লার্ক। পাশপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির ইনিংসের প্রশংসাও করেন। বললেন, 'পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাটের ইনিংস দেখে এতটুকু অবাক আমি হইনি। আসলে ওদের সবচেয়ে অস্ত্র হল প্রয়োজনের মুহূর্তে গ্রেট প্লেয়াররা জ্বলে ওঠে। বিরাটকে নেটে দেখতে আমার অসম্ভব ভালো লাগে। পাকিস্তান ম্যাচের আগের দিন টিমের দেড় ঘণ্টা আগে নেটে ব্যাটিং করতে চলে গিয়েছিল বিরাট। এটাতেই বোঝায়, ওর মধ্যে কতটা খিদে আজও বেঁচে রয়েছে।"
