সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি আগ্রাসী। অল্পতেই মেজাজ হারান। মাঠের মাঝেই প্রতিপক্ষকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না। এটা যদি বিরাট কোহলির পরিচিত স্বভাব হয়, তবে কয়েনের উলটো পিঠও রয়েছে। যার সাক্ষী রইল রবিবাসরীয় ভারত-পাক ম্যাচের দর্শকরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর আচরণ শুধু ভারতীয়দের নয়, মুগ্ধ করল পড়শি দেশকেও। সেই সঙ্গে মাঠের লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আবারও স্বভাবসিদ্ধ ভাবেই জ্বলে উঠলেন তিনি।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই বাবর আজমের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায় কোহলিকে। পাক ওপেনারের পিঠে হাত দিয়ে হাসি মুখে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে। ক্রিকেটের বাইশ গজে এহেন দৃশ্য দেখার জন্যই তো বছরের পর বছর অপেক্ষায় থাকেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে সৌজন্যের এখানেই ইতি নয়। পাকিস্তানের ইনিংস চলাকালীন দেখা ব্য়াটার নাসিম শাহর জুতোর ফিতেও বেঁধে দিতে দেখা গেল কোহলিকে। বৈরিতা ভুলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোহলির ব্যবহারের এসব ভিডিওই এখন সোশাল মিডিয়ার চর্চায়।
এদিন মানবিক কোহলিকে তো বটেই, ক্রিকেটের কিং কোহলিও ধরা দিলেন স্বমহিমায়। দ্রুততম ভারতীয় হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের গণ্ডি পেরিয়ে গেলেন তিনি। ভাঙলেন শচীন তেণ্ডুলকরের ১৯ বছরের রেকর্ড। ৩৫০টি ম্যাচ খেলে একদিনের ম্যাচে ১৪ হাজার রান ঝুলিতে ভরেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। সেখানে বিরাট এই মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেললেন ২৮৭ ইনিংসেই। এর পাশাপাশি বিশ্বের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ১৪ হাজার রান টপকানোর নজিরও গড়লেন কোহলি।
তবে শুধু ব্যাট হাতেই নয়, ফিল্ডার হিসেবেও এদিন নয়া রেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেন কোহলি। ভারতীয় হিসেবে সর্বোচ্চ ১৫৮টি ক্যাচ ধরলেন তিনি। টপকে গেলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন (১৫৬), শচীন তেণ্ডুলকর (১৪০), রাহুল দ্রাবিড় (১২৪) এবং সুরেশ রায়নাকে (১০২)।
