সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান। উড়ানটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৪১ জনের। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার। আর এতটাই আতঙ্কিত যে, ভবিষ্যতে কখনও এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে না ওঠার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।
বিমান দুর্ঘটনার পরের দিন সোশাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেন ওয়ার্নার। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের দুরবস্থা নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করা হয়। সেখানে এক নেটিজেনের মন্তব্যের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন ৩৮ বছর বয়সি এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। ওয়ার্নার উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, 'এই ছবি সত্যি হলে খুবই যন্ত্রণাদায়ক। ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত পরিবারকে সমবেদনা। আর কখনও এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সফর করব না। এমন মর্মান্তিক ছবি দেখার পর সেটা আর সম্ভব নয়।'
ভারতের সঙ্গে ওয়ার্নারের যোগাযোগ বহু পুরনো। প্রায়ই ভারতে আসেন তিনি। আইপিএলে একাধিক দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। যদিও এবছর ইন্ডিয়ান প্রমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। তা সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি। অভিষেক ঘটিয়েছেন ভারতীয় সিনেজগতেও। সুতরাং কখনও না কখনও এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে তাঁর সফর করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, এ কথা বলাই যায়।
তবে, এখানেই শেষ নয়। এর আগেও এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছিল ওয়ার্নারকে। মার্চে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে যাওয়ার কথা ছিল অজি ক্রিকেটারের। কিন্তু যে বিমানে ওয়ার্নার-সহ যাত্রীরা উঠেছিলেন, সেখানে কোনও পাইলটই ছিলেন না। ফলে উড়ান ছাড়তে অনেক দেরি হয়। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে ছাড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। যাত্রা শেষে গোটা বিষয়টি নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অজি তারকা। পোস্টে লেখেন, 'আমরা বিমানে উঠে পড়লাম, তারপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হল পাইলটের জন্য। আপনারা পাইলটবিহীন উড়ানে কেন যাত্রীদের বসান?' পোস্টে এয়ার ইন্ডিয়াকে ট্যাগও করেছিলেন ওয়ার্নার।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১০ নাগাদ আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। টেক অফের খানিকক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে উড়ান AI171। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমান। ছাদের উপর আছড়ে পড়া বিমানের ছবিও ভাইরাল হয়েছে। সেই সময় দাউদাউ করে জ্বলে উঠেছিল ভবনটির একাংশ। শুধু বিজি মেডিক্যাল কলেজই নয়, বিমান দুর্ঘটনার কারণে মেঘানিনগরের অনেক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে খবর।
