গুজরাট টাইটান্স: ১৮০/৬ (শুভমান ৬০, সুদর্শন ৫৬, শার্দূল ২/৩৪)
লখনউ সুপার জায়ান্টস: ১৮৬/৪ (পুরান ৬১, মার্করাম ৫৮, প্রসিদ্ধ ২/২৬)
৬ উইকেটে জয়ী লখনউ সুপার জায়ান্টস
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা সময়ে মনে হয়েছিল, হাসতে হাসতে ম্যাচ জিতে যাবে লখনউ সুপার জায়ান্টস। তবে একপেশে দ্বৈরথকে ১৮ ওভার পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখল গুজরাট টাইটান্সের বোলিং লাইন আপ। অল্প রানের পুঁজি নিয়েও নিকোলাস পুরানদের বিস্ফোরক ব্যাটিং লাইন আপকে আটকে রাখলেন ওয়াশিংটন সুন্দররা। তবে শেষরক্ষা হল না। জয়ের হাসি ফুটল লখনউ ব্রিগেডের মুখে।

চলতি আইপিএলের প্রথম ম্যাচে হারলেও সেখান থেকে দুর্দান্ত কামব্যাক করেছে গুজরাট। টানা চার ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে শুভমান গিলের দল। অন্যদিকে, তারকাখচিত দল গড়েও ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি লখনউ। পাঁচ ম্যাচে তিনটি জিতলেও প্রশ্ন রয়েছে ২৭ কোটির অধিনায়ক ঋষভ পন্থের ফর্ম নিয়ে। তবে মিচেল মার্শ-এডেন মার্করামদের দাপটে লখনউয়ের ব্যাটিং লাইন আপকে সমীহ করছে বিপক্ষ দলগুলি।
সবমিলিয়ে শনিবার লখনউয়ের ঘরের মাঠে ম্যাচ হলেও গুজরাটকেই এগিয়ে রেখেছিল ক্রিকেটমহল। এদিন টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লখনউ অধিনায়ক পন্থ। তবে একানা স্টেডিয়ামে এদিন ঝড় তোলে গুজরাটের ওপেনিং জুটি। হাফসেঞ্চুরি আসে সাই সুদর্শন-শুভমান গিল দু'জনের ব্যাট থেকেই। ১২০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে শুভমান যখন আউট হলেন, তখন দু'শো পারের স্বপ্ন দেখছে গুজরাট। কিন্তু সেখান থেকে ধসে পড়ল গুজরাটের মিডল অর্ডার। ২০ ওভারের শেষে ১৮০ রানে থেমে যায় গুজরাটের ইনিংস।
তুলনামূলক সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ম্যাচের শুরুতে ঝড় তোলেন এডেন মার্করাম। ৩১ বলে ৫৮ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। এদিন অবশ্য ওপেন করতে নেমে ব্যর্থ হন পন্থ। ১৮ বলে তাঁর সংগ্রহ ২১। দুরন্ত ফর্ম ধরে রেখে ৬১ রান করেন পুরান। তবে ম্যাচের শেষদিকে আচমকা রানের গতি কমে যায় লখনউয়ের। ১৮ তম ওভার পর্যন্তও মনে হয়েছিল, ম্যাচ জেতার ক্ষীণ আশা ছিল গুজরাটের। শেষ পর্যন্ত রশিদ খানের ঘূর্ণি সামলে লখনউকে ম্যাচ জেতালেন আয়ুশ বাদোনি। এদিন জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এল লখনউ।