সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোটের জন্য দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সাদা বলের ক্রিকেটেও তাঁকে দেখা যায়নি। জাতীয় দলের জার্সিতে প্রত্যাবর্তনেই নিজের জাত চেনালেন টিম ইন্ডিয়ার অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া। হার্দিকের অনবদ্য ইনিংসে ভর করেই কোনওক্রমে কটকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছল টিম ইন্ডিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারত ১৭৫ রান করল ভারত।
এদিন ফের টস হারে ভারত। প্রত্যাশিতভাবেই টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বিশ্রী হয় টিম ইন্ডিয়ার। প্রথম ওভারেই ফেরেন সহ-অধিনায়ক শুভমান গিল। টি-টোয়েন্টিতে লাগাতার ব্যর্থ হয়ে চলেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর উপর চাপ বাড়বে। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও এদিন ব্যর্থ হয়েছেন। এদিন মাত্র ১৭ রানে ২ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। এরপর খানিকটা পালটা লড়াই শুরু করেন তিলক বর্মা, অক্ষর প্যাটেল। কিন্তু তারা কেউই রানের গতি বাড়াতে পারেননি।
সেই কাজটা করতে হয় হার্দিক পাণ্ডিয়াকে। তিনি যখন ব্যাট করতে এলেন তখন ৪ উইকেটে ৭৮ রানে বেশ চাপে ভারত। সেখান থেকে শুরু পালটা মার। মাত্র ২৮ বলে ৫৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেন তিনি। ছ'টি বাউন্ডারি এবং চারটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। মূলত হার্দিকের ওই ইনিংসেই শেষ পর্যন্ত ১৭৫ রানে পৌঁছল টিম ইন্ডিয়া।
কটকের বারাবটি স্টেডিয়ামে এমনিতে পিচ ব্যাটারদের সহায়ক হয়। সমস্যা অন্য জায়গায়। সেটা হল শিশির। ওয়ানডে সিরিজে শিশির বড় ফ্যাক্টর হয়েছিল। যে দল পরে ব্যাট করেছে সেই দলই বাড়তি সুবিধা পেয়েছে। টি-টোয়েন্টিতেও তেমনটাই প্রত্যাশিত। সেই আশাতেই টস জিতে পরে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্করাম। এখন দেখার ভারত এই রানে জিততে পারে কিনা।
