সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংস্কৃতে একটা কথা আছে। 'ন যযৌ ন তস্থৌ'। অর্থাৎ, অনিশ্চিত কোনও পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া সত্যিই কঠিন। মহম্মদ শামির ক্ষেত্রে এ কথা খেটে যায়। কারণ তাঁকে নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা ছিলই। আর এবার তাতে সিলমোহর পড়ল। মুম্বইয়ে বোর্ডের হেড কোয়ার্টারে মিটিংয়ের পর ইংল্যান্ড সফরের জন্য ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। সেই দলে জায়গা পেলেন না বাংলার পেসার মহম্মদ শামি। আর তাতেই বোধহয় দেওয়াল লিখন পড়ে ফেলল তাঁর টেস্ট কেরিয়ারও।
২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর চোটের কারণে একবছরের বেশি সময় খেলতে পারেননি শামি। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল তাঁর। এখন আইপিএলেও খেলছেন। তবে, ইংল্যান্ড সিরিজে জায়গা পেলেন না তিনি। কারণ হিসেবে যুক্তি খাঁড়া করা হচ্ছে, টেস্ট ক্রিকেটে খেলার মতো পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে পারেননি তিনি।
শনিবার নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগরকর এ কথা উল্লেখ করে বলেন, "পুরোপুরি সেরে ওঠেনি শামি। আমরা ভেবেছিলাম ওকে পাব। যদিও সেটা হচ্ছে না। অসাধারণ ক্রিকেটার ও। চাইব, দ্রুত সেরে উঠুক শামি।" খাস আগরকরের এমন ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে গেল, শামির টেস্ট কেরিয়ার কি শেষের পথে?
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যম দাবি করে, বোর্ডের চিকিৎসকরা শামিকে টেস্ট খেলার জন্য সবুজ সংকেত দেননি। এদিকে আইপিএলে ৯টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন শামি। বোর্ডের একাংশ আবার মনে করছে, পুরো ১০ ওভার বোলিং করার মতো অবস্থাতে নেই তিনি। সেই কারণে শামিকে ছাড়াই ইংল্যান্ডে যাবে দল।
গত বছর অস্ট্রেলিয়া সফর চলাকালীন শোনা গিয়েছিল, তৃতীয় টেস্টের পর অজিভূমে পাঠানো হতে পারে তাঁকে। তবে, শেষমেশ তা হয়নি। একটা সময় কানাঘুসো চলে, ইংল্যান্ড সফরে নাকি মাঝপথে পাঠানো হতে পারে শামিকে। যদিও এদিন আগরকরের কথায় সেই ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, শামি যদি পুরোপুরি ফিটই না হন, তাহলে তাঁকে আইপিএলে এতগুলো ম্যাচ খেলার ছাড়পত্রই বা দেওয়া হল কেন? তাঁরা মনে করছেন, আইপিএল না খেলে তিনি যদি ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিতেন, তাহলে আখেরে লাভ হত ভারতীয় দলের জন্যই। এমনিতেও এখন তাঁর বয়স ৩৪। সেই কারণে আদৌ তিনি ভবিষ্যতে ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ পাবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল।