সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরু পদপিষ্ট কাণ্ডে হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল কর্নাটক সরকার। মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের আইনজীবীকে একাধিক প্রশ্ন করেছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। তবে আরসিবি এবং সম্প্রচারকারী সংস্থা ডিএনএ নেটওয়ার্ককে আপাতত স্বস্তি দিয়েছে উচ্চ আদালত।
বেঙ্গালুরুতে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছিল কর্নাটক হাই কোর্ট। সেই মামলার শুনানি শুরু হয় মঙ্গলবার, কার্যকরী প্রধান বিচারপতি ভি কমলেশ্বর রাও এবং বিচারপতি সি এম যোশীর বেঞ্চে। শুনানি চলাকালীন কর্নাটক সরকারের কাছে ৯টি প্রশ্ন করেন দুই বিচারপতি। আইপিএল জয়ের সেলিব্রেশনের মতো বিরাট মাপের অনুষ্ঠানের জন্য আদৌ প্রস্তুতি ছিল কিনা, যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মানা হয়েছিল কিনা, সেই নিয়ে বিশদে জবাব তলব করেছে কর্নাটক হাই কোর্ট।
এছাড়াও ভিড় নিয়ন্ত্রণ, বিজয় মিছিলের ঘোষণা এবং অনুমতি দেওয়া নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিদ্দারামাইয়ার সরকার। আদালতের তোপের মুখে পড়ে কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করতে ইতিমধ্যেই কমিশন গঠন করা হয়েছে। একমাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে কমিশন। তবে তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। আগামী ১২ জুন মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেবে কর্নাটক সরকার। এছাড়াও মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল আরসিবি এবং সম্প্রচারকারী সংস্থা ডিএনএ নেটওয়ার্ক। আপাতত তাদের বিরুদ্ধে কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার বেঙ্গালুরুতে আরসিবির সেলিব্রেশনের সময় স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আহতের সংখ্যা ৪৭ বলে জানা গেলেও সিদ্দারামাইয়ার দাবি সংখ্যাটা ৩৭। মর্মান্তিক এই ঘটনায় গোটা ক্রিকেট বিশ্ব স্তব্ধ। ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় আরসিবি, সম্প্রচারকারী সংস্থা এবং কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে আপাতত আদালতে তোপের মুখে পড়েছে কর্নাটকের প্রশাসন। অন্যদিকে কর্নাটকের রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা বিজয় মিছিলের পরিকল্পনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নিজেই। তাঁর উদ্যোগেই বিধান সৌধে নিয়ে যাওয়া হয় ক্রিকেটারদের।
