সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমবার আইপিএল খেলতে নেমেই সকলকে চমকে দিয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। হার্দিক পাণ্ডিয়ার নেতৃত্বে খেতাব জিতে নিয়েছিল তারা। পরের বছরও ফাইনালে উঠেছিল হার্দিক ব্রিগেড। কিন্তু রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারতে হয় রশিদ খানদের। তার পরেই গুজরাট ছেড়ে মুম্বইতে যোগ দেন হার্দিক। তরুণ অধিনায়ক শুভমান গিলের নেতৃত্বে অবশ্য গত মরশুমে একেবারেই ভালো খেলতে পারেনি গুজরাট।
মেগানিলামের আগে অবশ্য গত মরশুমের দলটাকেই ধরে রাখতে চাইছে গুজরাট ম্যানেজমেন্ট। শোনা যাচ্ছে, অধিনায়ক হিসাবে গিলই তাদের প্রথম পছন্দ। রিটেনশন লিস্টে অবশ্যই থাকবে তাঁর নাম। গিল ছাড়াও তারকা স্পিনার রশিদ খানকে ধরে রাখতে চায় গুজরাট। তবে সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে, প্রথম রিটেনশন হিসাবে গিল এবং রশিদের মধ্যে কাকে রাখবে ম্যানেজমেন্ট? কারণ প্রথম রিটেনশন ক্রিকেটারকে সর্বোচ্চ ১৮ কোটি টাকা দেওয়া যেতে পারে। দ্বিতীয় রিটেনশনের ক্ষেত্রে সেই অঙ্কটা কমে দাঁড়াবে ১৪ কোটি। ফলে টাকার অঙ্ক নিয়ে দুই তারকা ক্রিকেটারের মধ্যে সমস্যা হতে পারে।
রিটেনশন তালিকায় প্রথম দুই ক্রিকেটারের নাম প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে গুজরাট, খবর সূত্রের। তবে আরও বেশ কয়েকজনকে ধরে রাখতে পারে গুজরাট। তার মধ্যে অন্যতম গত মরশুমে দুরন্ত ব্যাটিং করা সাই সুদর্শন। তাছাড়াও আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে ব্যাটে-বলে নজর কেড়েছেন রাহুল তেওয়াটিয়া। আনক্যাপড হিসাবে এই দুই ক্রিকেটারকে রিটেন করতে পারে গুজরাট।
মহম্মদ শামিকেও রিটেন করার সম্ভাবনা ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। তবে চোটের সমস্যায় জেরবার বঙ্গ পেসারকে না রাখার সম্ভাবনাই প্রবল। বাংলার আরেক তারকা ঋদ্ধিমান সাহা গত মরশুমে কিপিং করলেও তাঁকে রিটেন করা হবে না। গত তিন বছরে নুর আহমেদ, স্পেনসার জনসন, মোহিত শর্মার মতো বোলাররা গুজরাটকে সাফল্য এনে দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদেরও ধরে রাখতে চায় না গুজরাট। তবে আরটিএম ব্যবহার করে এই সব ক্রিকেটারদের আবার দলে নিতে পারে তারা।
প্রথম দুবছরে হার্দিকের নেতৃত্বে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল গুজরাট। তার পর নাটকীয়ভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ছাড়েন তিনি। নতুন অধিনায়ক গিলের উপর প্রত্যাশার চাপ বাড়ে। নেতৃত্ব দিতে গিয়ে প্রথম বছরে ব্যর্থ হন গিল। দ্বিতীয় বছরেও কি তাঁকেই অধিনায়ক রাখা উচিত? নাকি বহু বছর আফগানিস্তানকে টি-২০তে নেতৃত্ব দেওয়া রশিদ খানের হাতে তুলে দেওয়া উচিত অধিনায়কের দায়িত্ব? প্রশ্ন রয়েছে গুজরাট ভক্তদের মনে।