আলাপন সাহা: অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে 'ডানা'। সমুদ্রের বুকে ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। হাওয়া অফিসের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে প্রবল বেগে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে 'ডানা'। ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে বিসিসিআইয়ের কাছে রনজি ট্রফির(Ranji Trophy) ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল সিএবি। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ হয়েছে বলেই খবর।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামরার মাঝে ল্যান্ডফল করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার। কলকাতায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সারাদিন ধরেই কলকাতায় বৃষ্টির দাপট।
এদিকে রনজি ট্রফিতে শনিবার থেকে কেরলের বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরু হচ্ছে বাংলার। প্রথমে ঠিক ছিল কেরলের বিরুদ্ধে বাংলা খেলবে কল্যাণীর মাঠে। কিন্তু পরে বদলে দেওয়া হয় ম্যাচের ভেন্যু। বৃষ্টির জন্য কল্যাণীতে চারদিনের খেলাই ভেস্তে গিয়েছিল। বাংলা টিম তাই কল্যাণীর বদলে যাদবপুরে খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। তার মধ্যেই 'ডানা'র জন্য বিসিসিআইয়ের কাছে ম্যাচ পিছনোর আবেদন করেছিল সিএবি। কেবল রনজি ম্যাচ নয়, আগামী ২৭ অক্টোবর বাংলার অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেলবে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে। সেটাও পিছনোর আবেদন ছিল।
কিন্তু তাতে সাড়া দিল না বিসিসিআই। জানা যাচ্ছে, বাংলার ম্যাচ পিছিয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। কারণ, রনজির মতো এত বড় প্রতিযোগিতার একটি ম্যাচ পিছিয়ে দিলে তার প্রভাব পড়বে গোটা সূচিতেই। যা একপ্রকার অসম্ভব। ফলে কেরলের বিরুদ্ধে বাংলার ম্যাচের সূচি বদলাচ্ছে না। একই পরিণতি অনূর্ধ্ব-২৩ ম্যাচের ক্ষেত্রেও। রনজিতে বিহারের বিরুদ্ধে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল। মাত্র এক পয়েন্ট জুটেছিল অনুষ্টুপ মজুমদারদের কপালে। তার পরে এই ম্যাচও যদি বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়, তাহলে নকআউটে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়ে যাবে।