সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কারগিল বিজয় দিবসের দিনই ঘোষিত হয়েছে চলতি বছরের এশিয়া কাপের সূচি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হওয়ার কথা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দু'দেশের যা রাজনৈতিক সমীকরণ, তাতে কি আদৌ ভারত-পাক ম্যাচ হবে? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। এখনও পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে কোনও আপত্তি আসেনি। তাহলে কি ভারত-পাক ম্যাচ 'বয়কট' না করে, ক্রীড়াবিশ্বে আরও বড় কোনও পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের?
এসিসি’র প্রধান মহসিন নকভি সোশাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছেন ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এশিয়া কাপ। ঘোষিত হয়েছে চূড়ান্ত সূচিও। তবে সম্প্রতি লেজেন্ডস লিগে ভারত-পাক ম্যাচ বাতিল হয়েছে। তার আগে ম্যাচ নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সূচি ঘোষণা হলেও ভারত-পাক ম্যাচের ভবিষ্যৎ কী হয়, সেদিকে চোখ থাকবে সবার। শুধু তাই নয়, দুই দল ফাইনালে উঠলে টুর্নামেন্টে তিনবার ভারত-পাক ম্যাচ দেখা যাবে।
যদিও একটি ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইটের মতে, অলিম্পিকের আয়োজক দেশ হওয়ার জন্য ভারতকে সব ক্রীড়া ইভেন্টে সহানুভূতিশীল হতে হবে। অর্থাৎ, অলিম্পিক আয়োজনে পাকিস্তানের মতো দেশের সঙ্গে না চাইলেও খেলতে হবে। ২০৩৬ সালে ভারত অলিম্পিক আয়োজন করতে চায়। কিন্তু আয়োজক দেশ হওয়ার ছাড়পত্র তার অনেক আগেই পাওয়া যাবে। অলিম্পিকের ৪৪ নম্বর নিয়মে আছে, কোনও দেশ জাতি, ধর্ম বা রাজনৈতিক কারণে অন্য কোনও দেশের বিরুদ্ধে খেলতে অস্বীকার করতে পারে না। সম্ভবত সেই কারণে সমালোচনা সত্ত্বেও ক্রীড়ামঞ্চে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
চলতি মাসের শুরুতেই ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেছিলেন, দ্বিপাক্ষিক টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তি আছে। তাহলে কি কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সেই আপত্তি নেই? উল্লেখ্য, ১৯ আগস্ট থেকে ভারতের মাটিতে শুরু হতে চলা হকির এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তান আসছে। এছাড়া ২০২৫-এ মহিলাদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২৬-এ মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ভারত-পাক মুখোমুখি হবে।
