সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এজবাস্টন টেস্টে দুর্দান্ত ছন্দে দেখা গিয়েছে আকাশ দীপকে। প্রথম ইনিংসে চার ইংরেজ ব্যাটারকে সাজঘরের রাস্তা দেখানোর পর দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেও জ্বলে উঠেছেন তিনি। ফিরিয়েছেন মারমুখী মেজাজে থাকা বেন ডাকেটকে। তিনি করেন ১৫ বলে ২৫ রান। জো রুট (৬)-কেও আউট করেন আকাশ। দু'টি ক্ষেত্রেই বোল্ড হয়েছেন দুই ইংরেজ ব্যাটার। তবে, জো রুটের আউট নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
আকাশ দীপের অনবদ্য এক ইনসুইংয়ে ছিটকে যায় রুটের উইকেট। যদিও এই আউটের পর শুরু হয় 'নো বল বিতর্ক'। তবে, মাঠের আম্পায়ারের আকাশ দীপের ডেলিভারি নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। কিন্তু প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার অ্যালিসন মিচেল ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় দাবি করে বসেন, সেটা নাকি নো বল ছিল।
বিবিসি টিএমএসে ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে অ্যালিসনের মন্তব্য, "ক্রিজের অনেক বাইরে থেকে বল করেছে আকাশ। ওর পিছনের পা প্রায় ২ ইঞ্চির মতো ক্রিজের বাইরে ছিল। তাই আইন অনুযায়ী বলটি নো বল হওয়া উচিত ছিল। যদিও সেটা ধরা পড়েনি।" অর্থাৎ আকাশের সামনের পা পপিং ক্রিজের ভিতর থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, পিছনের পা রিটার্ন ক্রিজ স্পর্শ করেছে। এই কারণে অ্যালিসন তো বটেই, সোশাল মিডিয়ায় অনেকেই বলছেন রুটের আউটটা নো বলে হয়েছে।
এমসিসি'র ২১.৫.১ নিয়মে বলা হয়েছে, বোলারের পিছনের পা রিটার্ন ক্রিজ স্পর্শ করতে পারবে না। অর্থাৎ, রিটার্ন ক্রিজের মধ্যেই ফেলতে হবে বোলারের পা। তাহলেই সেটা বৈধ বল। তাছাড়া পপিং ক্রিজের পিছনে পড়তে হবে সামনের পা। বড় জোর পপিং ক্রিজের উপরেও থাকতে পারে পা। এখানেই শেষ নয়। ক্রিকেট পিচে মিডল স্ট্যাম্পকে সংযোগ করে একটি 'অদৃশ্য' লাইনও। সেই লাইনের এক পাশে থাকতে হবে বোলারের পা।"
যদিও ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী মনে করছেন এহেন বিতর্ক নিরর্থক। তিনি বলেন, "আকাশের পিছনের পা তো রিটার্ন ক্রিজের মধ্যেই ছিল। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। তাই রুটকে ও যে বলে বোল্ড করেছে, তা সম্পূর্ণ বৈধ।" এত বিতর্কের পরও মনে রাখতে হবে, মাঠের আম্পায়াররা কিন্তু আকাশ দীপের বলটাকে বৈধ বলে মনে করেছেন।
