সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান (Pakistan)। মুদ্রাস্ফীতির জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে সেদেশের অর্থনীতি। এহেন অবস্থায় এবার ইসলামাবাদে রেকর্ড পতন হল পাকিস্তানি টাকার। ডলার প্রতি ২৫৫ টাকায় পৌঁছল টাকার দাম।
একধাক্কায় কেন ২৪ টাকা পড়ে গেল টাকার দাম? আসলে এই মুহূর্তে আর্থিক সংকট থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের একমাত্র ভরসা IMF। গতবছরও মোটা অঙ্কের ঋণ দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার পাকিস্তানকে দুরবস্থা থেকে বাঁচিয়ে তুলেছিল। কিন্তু এবছর সেটাও সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এহেন পরিস্থিতিতে সাড়ে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পেতে মরিয়া ইসলামাবাদ। আর তাই আইএমএফের কথাতেই বুধবার থেকে বিনিময় হারে সরকারি নিয়ন্ত্রণ তুলে নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। আর তার ফলেই নামতে শুরু করেছে টাকার মূল্য।
[আরও পড়ুন: হাতেখড়ি বিতর্কের মাঝেই দিল্লি যাচ্ছেন বাংলার রাজ্যপাল, জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা]
উল্লেখ্য, মুদ্রাস্ফীতি (Inflation), নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে পাকিস্তানে। বেহাল দশা আমজনতার। রান্নার গ্যাস, ভোজ্য তেল অমিল ইসলামাবাদে। এবার আটার জন্য় হাহাকারও চোখে পড়ল সে দেশে। জানা গিয়েছে, ১৫ কেজির আটার বস্তার দাম ১৫০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫০ টাকা। দু’সপ্তাহের মধ্য়ে আটার দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা।
পাক সংবাদমাধ্যম ডন-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সে দেশে পাম তেল, সোয়াবিনের তেল ও সানফ্লাওয়ার তেলের জোগানে ঘাটনি দেখা দিয়েছে। মিলছে না রান্নার তেলও। ব্যবসায়ীদের কাছে মজুত তেলভাণ্ডারেও টান পড়বে শীঘ্রই। অথচ এগুলি সে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায় নাম রয়েছে এই তিন তেলের। আকাশছোঁয়া জ্বালানির দাম। এমনকী মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও মাঝেমাঝে ব্যাহত হচ্ছে। তারপরেও চাহিদামতো জোগানে ঘাটতি দেখা গিয়েছে। যার জেরে শাহবাজ শরিফের সরকারের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এহেন পরিস্থিতিতে আজব মন্তব্য করেছেন পাক অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। তিনি বলেছেন, “আল্লাই পাকিস্তান বানিয়েছেন। তিনি যখন দেশ তৈরি করেছেন, তখন এই সংকট থেকে উদ্ধার করবেন তিনিই। দেশকে রক্ষা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন আল্লা।”