সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফিরল ২০১৫ সালের ভয়াবহ স্মৃতি। শুক্রবার রাতে প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন রওনা দিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড।
জানা গিয়েছে, আহতের সংখ্যাও ১০০ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। নেপালের কম্পনের অভিঘাত এতটাই ছিল যে, তার প্রভাবে কেঁপে উঠেছিল সুদূর দিল্লির মাটিও। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে টের পাওয়া গিয়েছিল কম্পন। এছাড়াও ভূমিকম্পের কারণে এনসিআর, অযোধ্যা-সহ উত্তর ভারতের বড় অংশের মাটিতে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। লখনউ এবং বিহারেরও বেশ কিছু জায়গার মাটি কেঁপে ওঠে।
নেপাল প্রশাসন সূত্রে খবর, রুকুম জেলা এবং জাজারকোট এই প্রবল ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধুমাত্র রুকুমেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৬ জন। রুকুম পশ্চিমের চিফ ডিস্ট্রিক্ট অফিসার হরিপ্রসাদ পন্থ জানিয়েছেন, স্থানীয় হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। আতঙ্কিত স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, কম্পনের অভিঘাত এতটাই ছিল যে কিছুক্ষণের মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে। বহু বাড়িতে চওড়া চওড়া ফাটল ধরেছে। ইট-কাঠ-সিমেন্টের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়ছে বহু মানুষের।
[আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত নয়, তবে… প্যালেস্টাইন নিয়ে কী বার্তা জয়শংকরের?]
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালেও ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত হয়েছিল হিমালয়ের কোলে অবস্থিত নেপাল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। ওই বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৮ হাজার মানুষ। সেবার পড়শি দেশের সাহায্যে মুহূর্তে হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত। এবারও নেপালের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে দিল্লি বলে খবর।