সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনদুয়েক আগেই গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) এক গণধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এক মহিলাকে গণধর্ষণ (Gangrape) করে তাঁর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢোকার অভিযোগ উঠেছিল পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু এবার রাতারাতি ঘুরে গিয়েছে ঘটনাস্রোত। জানা গিয়েছে, আদৌ ৩৬ বছরের ওই মহিলা গণধর্ষিতাই হননি। এর পিছনে রয়েছে জমি বিবাদ। আর সেই কারণেই ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে দিল্লির মহিলা কমিশন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) কাছে আরজি জানিয়েছেন, ওই মহিলার বিরুদ্ধে যেন কড়া পদক্ষেপ করা হয়। কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল তাঁর লেখা চিঠিতে দাবি করেছেন, পুরো ঘটনাটি নিয়ে যেন উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হয়।
[আরও পডুন: দীপাবলির আগে দুঃসংবাদ, প্রবল তুষারঝড়ে উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু বাংলার পর্বতারোহীর]
প্রসঙ্গত, গাজিয়াবাদের এক রাস্তায় ওই মহিলাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তাঁর যৌনাঙ্গে ঢোকানো ছিল লোহার রড। মহিলা পরে অভিযোগ করেছিল, তাঁকে ২ দিন ধরে চানা গণধর্ষণ করেছেন ৫ ব্যক্তি। এরপর তাঁর হাত-পা বেঁধে বস্তায় পুরে ফেলে দেওয়া হয় রাস্তার ধারে।
কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, এই ঘটনাটি ছিল পুরোপুরি সাজানো। আগে থেকেই জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ ছিল ওই মহিলা ও ওই ব্যক্তিদের মধ্যে। তাঁদের ফাঁসাতেই তাই ওই পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। সঙ্গে নেন কয়েকজন বন্ধুকে। যে দু’দিন তিনি নিখোঁজ ছিলেন, সেই দু’দিন তিনি ওই বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর তিন বন্ধুকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[আরও পডুন: বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধকে পিষে মারল হাতি, মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য বনদপ্তরের]
এই পরিস্থিতিতে স্বাতীর অভিযোগ, ‘একথা বলা বাহুল্য, এটা অত্যন্ত গুরুতর এবং চমকে দেওয়ার মতো অভিযোগ।’ পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, পুলিশকে এটাও খুঁজে বের করতে হবে ওই মহিলার শরীরে যে চোট ছিল তা কারা সৃষ্টি করেছে এবং তাঁর যৌনাঙ্গে রড ঢোকানোর বিষয়টির পিছনেই বা কেমন চক্রান্ত ছিল। স্বাতীর দাবি, ‘যদি শেষ পর্যন্ত এটা প্রমাণিত হয় ওই মহিলা নির্যাতিতা নন, তিনিই চক্রান্তকারিণী তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮২ ধারা ও অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করতে হবে।’