shono
Advertisement

Breaking News

বিজেপি নেতার টুইটকে ‘কারসাজি’ঘোষণার জের! টুইটারের অফিসে ‘হানা’দিল্লি পুলিশের

কংগ্রেসকে বিঁধতে গিয়ে 'ভুয়ো' টুইট করেছিলেন সম্বিত।
Posted: 09:46 AM May 25, 2021Updated: 12:55 PM May 25, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কংগ্রেসের টুলকিট’ কাণ্ড নিয়ে এবার বিবাদ শুরু হয়ে গেল কেন্দ্র এবং টুইটার ইন্ডিয়ার (Twitter India) মধ্যে। কীসের ভিত্তিতে বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রর টুইটকে ‘কারসাজি’ বা ‘ম্যানিপুলেটেড’ ঘোষণা করল টুইটার? জানতে সোজা টুইটার ইন্ডিয়ার দিল্লির দুই অফিসে হানা দিল দিল্লি পুলিশ। তাঁদের যুক্তি, বারবার নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও টুইটারের তরফে কেউ জবাব না দেওয়ায় বাধ্য হয়েই তারা অফিসে গিয়েছিলেন জবাব চাইতে।

Advertisement

কী এই কংগ্রেস (Congress) টুলকিট? বিজেপির অভিযোগ, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কাকে ব্যবহার করে মোদি সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। এবং সেই কাজে তাঁরা ব্যবহার করছে বিতর্কিত টুলকিট। দিন কয়েক আগে বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র (Sambit Patra) টুইট করে দাবি করেন, এই সেই ‘টুলকিট’। যা গোপন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে অতিমারী নিয়ন্ত্রণে মোদি (Narendra Modi) সরকারকে কাঠগড়ায় তোলার ষড়যন্ত্র করছে কংগ্রেস। তিনি রীতিমতো ব্যঙ্গ করে লেখেন, ‘‘বন্ধুরা দেখুন, কংগ্রেসের টুলকিট কীভাবে অতিমারীর সময়ে অভাবীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।’’টুলকিটে নাকি বলা হয়েছে, করোনার ভারতীয় স্ট্রেনকে ‘মোদি স্ট্রেন’ লেখা হোক। সেই সঙ্গে মহাকুম্ভকে ‘সুপার স্প্রেডার’ হিসেবেও বারবার উল্লেখ করতে হবে। কেবল সম্বিত পাত্রই নন, পরে টুলকিট নিয়ে টুইট করেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, বিজেপি নেতা বিএল সন্তোষ।

[আরও পড়ুন: এক লক্ষ করোনা রোগীকে রামদেবের ‘করোনিল’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হরিয়ানা সরকারের! শুরু বিতর্ক]

কংগ্রেস পালটা দাবি করে এই ধরনের কোনও টুলকিট তাঁদের তরফে প্রকাশ করা হয়নি। বিজেপি (BJP) ‘ভুয়ো’ টুলকিট ছড়িয়ে তাদের বদনাম করার চেষ্টা করছে। সম্বিত পাত্র-সহ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করে হাত শিবির। এরপর টুইটারের তরফেও সম্বিত পাত্রর টুইটকে ‘ম্যানুপুলেটেড মিডিয়া’ হিসেবে দেগে দেওয়া হয়। তারপরই কেন্দ্রের রোষের মুখে পড়ে টুইটার। কেন বিজেপি মুখপাত্রের টুইটকে ‘কারসাজি’ বলা হয়েছিল, তা জানতে চেয়ে টুইটারকে নোটিস পাঠায় দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের দাবি, টুইটারের তরফে তাঁদের পাঠানো নোটিসের জবাব দেওয়া হয়নি। মনে করা হচ্ছে, নোটিসের জবাব চাইতেই সোমবার বিকেলে দিল্লির লাড়ো সরাই এলাকা এবং হরিয়ানার গুরুগ্রামে টুইটার ইন্ডিয়ার দুই অফিসে হানা দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের দাবি, টুইটার যেভাবে বিজেপি নেতার টুইটকে ভুয়ো বলে দেগে দিয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে, এই টুলকিট কাণ্ডে টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে এমন কোনও তথ্য আছে, যা তাঁদের কাছেও নেই। সেই তথ্য জানতেই টুইটার অফিসে গিয়েছিলেন তাঁরা। সরকারের তরফে অভিযোগ, টুইটার কর্তৃপক্ষ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা তো করছেই না, উলটে এই অভিযানকে হাতিয়ার করে ‘ভিকটিম কার্ড’ খেলার চেষ্টা করছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement